পার্থর সঙ্গে বৈঠক এড়ানোর পর মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনুপস্থিত! রাজীবের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে
দলের এক শ্রেণির নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিস্তর। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (rajib banerjee) সঙ্গে সেই দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে(partha chatterjee)। দু-দুবার তিনি বৈঠকও করেন। কিন্তু মঙ্গলবারের বৈঠকে যাননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যাননি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও। যা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
মন্ত্রীপদে ইস্তফা লক্ষ্মীরতনের! তৃণমূলের পদ ছাড়তেই শুরু জল্পনা

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব
এদিন তৃণমূলর মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘনিষ্ঠ মহলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শরীর খারাপের কারণে তিনি মঙ্গলবারের বৈঠকে যেতে পারছেন না।

আগের দুই বৈঠকে ফল মেলেনি
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম বৈঠকটি করেছিলেন ১৩ ডিসেম্বর নাকতলার বাড়িতে। সেখানে সেদিন পিকের টিমও হাজির ছিল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। ক্ষোভ থাকতেই পারে কিন্তু তাঁকে যেন অন্য কারণ সঙ্গে জড়ানো না হয়। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধানের আশা তিনি ব্যক্ত করেছিলেন। ২১ ডিসেম্বর আরও একবার বৈঠকে বসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বৈঠকেও কোনও রফা সূত্র বেরিয়ে আসেনি। তবে ওইদিন বৈঠকের পরে কোনও পক্ষই বৈঠক নিয়ে কোনও রকমের মন্তব্য করতে চায়নি।

ক্যাবিনেট বৈঠকেও অনুপস্থিত
এদিন নবান্নে থাকা ক্যাবিনেট বৈঠকেও অনুপস্থিত থাকেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নতুন কিছু নয়। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের দুই ক্যাবিনেট বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠক অনুপস্থিত থাকায় পরপর তিনটি ক্যাবিনেট বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত থাকলেন।

দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূলে দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মূলত সমস্যা হাওড়ার তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের। দিন কয়েক আগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বেশ কিছু নেতা তৃণমূল কর্মীদের সময়মতো নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন। কর্মীদের সঙ্গে নেতারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের নেতারা যেন না ভাবেন, কর্মীরা কিছু বোঝে না। সতর্ক করে তিনি বলেছিলেন, মানুষকে সাময়িকভাবে বোকা বানানো যায়, কিন্তু চিরকাল কাউকে বোকা বানানো যায় না। এর আগে তিনি বলেছিলেন, দলে স্তাবকতা না করলে নম্বর মেলে না। দলে যোগ্যতা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার কোনও জায়গা নেই বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।