হাই ব্লাডপ্রেসার, মাথা তুলতে পারছিলেন না, রোড শোয়ে না যাওয়ার সাফাই বৈশাখীর, শোভনের কারণ কী?
যাঁদের সামনে রেখে রোড শো। তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন না। শোভন-বৈশাখীর রোড শোয়ে এক প্রকার মুখ পুড়েছে বিজেপির। এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার ভাবনা চিন্তা যখন শুরু করেছে মুরলীধর লেন। ঠিক তখনই সাফাই দিলেন বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলিভিশনের পর্দায় মুখ খুললেন তিনি। একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানালেন, রোড শোয়ে অনুপস্থিতির একমাত্র কারণ তাঁর অসুস্থতা। বিকেল তিনটে পর্যন্ত বিছানা থেকে মাথা তুলতে পারেননি তিনি। ডাক্তার ৪৮ ঘণ্টা বেডরেস্ট বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় এলেন না কেন তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বৈশাখী।

বৈশাখীর সাফাই
শোভন-বৈশাখীর রোড শো। প্রথম প্রচেষ্টাতেই একেবারে ফ্লপ শো বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের মুখ পুড়িয়ে ছাড়লেন প্রাক্তন মেয়র ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরে শেষে সাফাই দিতে বসেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন রোড শোয়ে না যাওয়া নিয়ে কোন মান-অভিমান ছিল না তাঁর। ভীষণ অসুস্থ ছিলেন তিনি। হাই ব্লাডপ্রেসারের কারণে বিছানা থেকে মাথা তুলতে পারছিলেন না। এখনও শরীর চলছে না। যাওয়ার অনেক েচষ্টা করেছিলেন। তিনটে সময়ও বিছানা থেকে মাথা তুলতে পারেননি। ডাক্তার ৪৮ ঘণ্টা বেডরেস্ট বলেিছল তাঁকে। সেকারণেই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও রোড শোয়ে যেতে পারেন নি।

কেন গেলেন না শোভন
বৈশাখী না হয় অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু শোভন কেন গেলেন না। ৩ বছর পর প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল তাঁর কলকাতার বুকে। কিন্তু সেটায় যোগ দিলেন না তিনি। কারণ ব্যাখ্যা করে বৈশাখী বলেেছন, তাঁর অসুস্থতার কারণেই শোভন বাবু যেতে পারেননি। বান্ধবীকে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে রেখে রাজনৈিতক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়া ঠিক মনে করেননি তিনি। সেকারণেই শোভন বাবুও শেষ পর্যন্ত রোড শোয়ে অংশ নেননি।

মুখ পুড়েছে বিজেপি
শোভন -বৈশাখীর এই পদক্ষেপে ভীষণভাবে রুষ্ট বঙ্গ বিেজপির শীর্ষ নেতারা। শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথাও ভাবতে শুরু করেছে দিলীপ ঘোষরা। ঠিক সেই মুহূর্তেই বৈশাখীর সাফাই এবং বিজেপি নেত্রী দাবি করেছেন এর পরেও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। তার প্রস্তুতি চলছে। শীঘ্রই সেসম্পর্কে জানতে পারবেন। এদিকে সূত্রের খবর যাঁদের নামে রোড-শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল তাঁরাই শেষ মুহূর্তে উপস্থিত না হওয়ায় এক প্রকার মুখ পুড়েছে বিজেপির।

পদ প্রাপ্তি শোভনের
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এক প্রকার নিষ্ক্রিয়ই হয়ে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অমিত শাহ রাজ্য সফর করে যাওয়ার পর নতুন পদ প্রাপ্তী হয় শোভনের। কলকাতার পর্যবেক্ষক পদে বসানো হয় তাঁকে। মুরলীধর স্ট্রিটে আলাদা করে তাঁদের জন্য ঘরও বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু তার পরেও শোভনের এই পদক্ষেপে রীতিমত অসন্তুষ্ট হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়।