স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর এই প্রথম নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর৷
গত ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগদানের পর মমতার সেই নন্দীগ্রাম সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, সভার মূল সংগঠক এবং রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেই সভা স্থগিত রাখা হয়৷ শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়ে রেখেছেন, তৃণমূলনেত্রী নন্দীগ্রামে গিয়ে সভা করলেই তার পরে সেখানে সভা করে পাল্টা জবাব দেবেন তিনি৷ এদিকে, ১৮ তারিখ জনসভা থেকে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, এখন সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলন রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করে তৃণমূল। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী শুভেন্দু নন্দীগ্রাম বিধানসভা বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেই তিনি রাজ্যে মন্ত্রী হন। ১৯ ডিসেম্বর বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতা, বিধায়ক বিজেপি-তে গিয়েছেন।এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের সংগঠনে ধস নামতে পারে বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি আঁচ করেই পূর্ব মেদিনীপুরে ঘর গোছাতে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন মমতা। জেলা তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুভেন্দুর দল বদলের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন মমতা। সূত্রের মতে, নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠেই সভা করবেন মমতা।
তবে শুধু নন্দীগ্রাম নয়, জানুয়ারি মাসে আরও দুই জেলা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর৷ সেই তালিকায় রয়েছে নদিয়া এবং পুরুলিয়া৷ নদিয়ার রানাঘাটে প্রশাসনিক সভা করারও কথা রয়েছে তাঁর৷ প্রসঙ্গত, পুরুলিয়াতেও শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.