প্যানগং থেকে গালওয়ান, লাদাখে স্থিতাবস্থা বদলাতে চাইছে চিন! সীমান্তে শান্তি ফিরবে কোন পথে?
চিনই বারংবার বলপূর্বক লাদাখ সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলাতে চেয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রিভিউ রিপোর্টে এমনই তথ্য প্রকাশিত হল। উল্লেখ্য, বিশ্বে করোনা সংক্রমন ছড়ানোর শুরু হতেই ভারতের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল চিন। এরপর থেকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চিন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে।

প্রায় ৮ মাস ধরে যে অশান্তির পরিবেশ রয়েছে
পূর্ব লাদাখে গত প্রায় ৮ মাস ধরে যে অশান্তির পরিবেশ রয়েছে, তার যেন কোনও অন্ত নেই, কোনও বিরাম নেই। স্থিতাবস্থা বজায় রেখে ভবিষ্যতে ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়াটাই আসলে ড্রাগনের আগামী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। আর ঠিক এই কারণেই ভারতের উপর প্রবল চাপ দিয়ে চলেছে চিন। ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে ডজন খানেক বৈঠক করলেও এখনও শান্তির সূত্র খুঁজে পায়নি দুই দেশ।

শীর্ষকর্তা স্তরেও হয়েছে বহু বৈঠক
বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা স্তরেও হয়েছে বহু বৈঠক, বহু আলোচনা। কিন্তু কোনও বৈঠক, কোনও আলোচনা থেকেই কোনও সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। মুখে বা সামনাসামনি তারা মেনে নিচ্ছে যে এই ধরনের পরিস্থিতি দুই দেশের কারও পক্ষেই সুখকর নয়। কিন্তু এই চাতুরি বারেবারে ধরা পড়ে যাচ্ছে তাদের খল পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে। এক দিকে তারা হাবেভাবে দেখাচ্ছে যেন তারা এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না যাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এই অঞ্চলে অশান্তি বৃদ্ধি পায়। আবার অন্য দিকে তারাই নতুন নতুন ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে যাতে ভবিষ্যতে অশান্তি তৈরি হয়।

চিন-পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র
এছাড়াও ভারতের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। নতুন এই ষড়যন্ত্রের পোশাকি নাম চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর। এটি তৈরি করতে খরচ করা হচ্ছে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। এই করিডর রক্ষা করতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভারত পাক সীমান্ত বরাবর দুই দেশ একত্রিত ভাবে ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাক সেনা বাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।