কলকাতা: এরাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট আরও শক্তিশালী করাই লক্ষ্য। বামেদের সঙ্গে সমঝোতা আরও মসৃণ করতে তৎপর হল এআইসিসি। এবার পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া তরাণ্বিত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কমিটিতে রাখা হয়েছে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং নেপাল মাহাতোকেও।
একুশের লড়াই জমজমাট। একদিকে ‘উন্নয়ন’কে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টায় শাসক তৃণমূল। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভুরি-ভুরি অভিযোগ তুলে বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। বিহার পকেটে পুরে এবার মোদী-শাহদের টার্গেট বাংলা।
সেই লক্ষ্যেই পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া-শিবির। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। আগামী সপ্তাহে ফের রাজ্যে আসার কতা রয়েছে শাহের। হাওড়ার ডুমুরজলায় তিনি একটি সভাও করতে পারেন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি মাসের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।
একইভাবে তৃণমূল সরকারকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে তৎপরতা বাম-কংগ্রেস শিবিরেও। আসন্ন বিধানসভা ভোটে জোট করে লড়াইয়ের ময়দানে দুই দল। ইতিমধ্যেই বামেদের সঙ্গে জোট আরও সুদৃঢ় করার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বিশেষ কমিটি। সেই কমিটিই এরাজ্যে বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা মজবুত করবে। কংগ্রেসের তরফে বাংলায় বামেদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি থেকে শুরু করে জোট-রাজনীতির যাবতীয় সমীকরণ গড়ার ভার তাঁদেরই কাঁধে।
জোট সুদৃঢ় করতে তৎপরতা বাম শিবিরেও। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে দৃঢ়তা আনতে এবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যৌথ সমাবেশের ভাবনা বামেদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে যৌথ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যকলাপে গতি বাড়াচ্ছে বাম-কংগ্রেস।
এবার জোটকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ করতে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যৌথ সমাবেশের ভাবনা। সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দলীয় বৈঠকে।
বামেদের তরফে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড অবশ্য বামেদের এই প্রস্তাব নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.