কলকাতায় বিজেপির রোড শোতে চরম বিশৃঙ্খলা! কৈলাশ, মুকুলদের লক্ষ্য করে জুতো, ঢিল
সকাল থেকেই বিজেপির রোড শো নিয়ে নাটক। পুলিশের লিখিত অনুমতি না থাকলেও, মৌখিক অনুমতি নিয়ে রুট বদলে রোড শো করে বিজেপি। কিন্তু যাঁকে নিয়ে এই রোড শএা হওয়ার কথা ছিল, সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ই এদিনের রো শো-তে অনুপস্থিত। অন্যদিকে বিজেপির রোড শো শুরু হওয়ার পরে ওয়াটগঞ্জে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে জুতো ও ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় অ্যাজেন্ডায় বদল
মোমিনপুর থেকে মাঝেরহাট, টালিগঞ্জ হয়ে রোড শো যাওয়ার কথা ছিল মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় বিজেপি ঠিক করে কর্মসূচি হবেই। তবে তাতে কিছু পরিবর্তন করা হয়। ঠিক হয় বাইকে নয়, পায়ে হেঁটে মিছিল করা হবে। তা মোমিনপুর থেকে শুরু হয়ে হেস্টিংস পর্যন্ত যাবে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়দের নেতৃত্বে হওয়া মিছিলে আর নয় অন্যায় কর্মসূচিকে তুলে ধরা হয় বিজেপির তরফে।

এলেন না শোভন, বৈশাখী
প্রথমে ঠিক ছিল কলকাতার দায়িত্ব পাওয়ার পরে বিজেপির রাজ্য দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথমে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়া কথা জানান। পরে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁকে এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। এদিন সকালেও বিজেপি নেতৃত্বের তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বোঝানো হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কর্মসূচিতে না যোগ দেওয়ার ব্যাপারে শোভন চট্টোপাধ্যায় অনড় থাকেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিকেলের দিকে বলা হয় রবিবার থেকে অসুস্থ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। সেই কারণে শোভন চট্টোপাধ্যায়ও এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারছেন না।

ওয়াটগঞ্জে উত্তেজনা
এদিন বিজেপির রোড শো শুরু হওয়ার পরেই ওয়াটগঞ্জে উত্তেজনা তৈরি হয়। যেপথ দিয়ে বিজেপির মিছিল যাচ্ছিল, সেই পথেই তৃণমূলের একটি অস্থায়ী মঞ্চ ছিল। সেখানে ছিল স্থানীয় বিধায়ক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ছবি। সেই মঞ্চ থেকেই তৃণমূলের তরফে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়দের লক্ষ্য করে জুতো, ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

পুলিশের তৎপরতায়া রক্ষা
ডিসেম্বরে দশ তারিখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার যাচ্ছিলেন। পথে শিরাকোলে তাঁর কনভয়ে হামলা হয়। যা সেদিন সর্বভারতীয় গণমাধ্যমের চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল। সেই ঘটনাকে মাথায় রেখেই, এদিন পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। গার্ডরেল দিয়ে তৃণমূলের করা অস্থায়ী মঞ্চ ঘিরে দেওয়া হয়।
এদিকে এদিনের বিজেপির কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, রাজ্যে কিছুর জন্য অনুমতি চাইলেও পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, মুকুল রায় বলেছেন, বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক করে দেন কাকে অনুমতি দেওয়া হবে, আর কাকে দেওয়া হবে না।
শুভেন্দুর দলত্যাগে তৃণমূলের কী হাল হবে অধিকারী-গড়ে! কোন জেলায় আশার আলো সমীক্ষায়