কলকাতা: বিজেপির মিছিল ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। এদিন আলিপুর থেকে বিকেল সাড়ে তিনটের পর শুরু হয় বিজেপির মেগা-মিছিল। সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে মিছিল ওয়াগঞ্জ চত্বরে আসতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানে আগে থেকেই তৃণমূলের একটি অস্থায়ী মঞ্চ ছিল। সেই মঞ্চ থেকে বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। মুহূর্তে তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে পুলিশকর্মীদের তৎপরতায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে আলিপুর থেকে বিজেপির মেগা-মিছিল শুরু হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে সক্রিয় ভূমিকায় ফেরাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এদিন আলিপুরে দলের কর্মসূচিতে যোগ দেননি শোভন। যা নিয়ে বিজেপিতে অস্বস্তি বাড়তে থাকে।
শেষমেশ সাড়ে তিনটের পরে আলিপুর থেকে বেরোয় মিছিল। অন্যদিকে, সোমবার বিজেপির এই মিছিলের লিখিত অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা সারেন বিজেপি নেতারা। রুট বদলে, মিছিলে গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় না এলেও এদিন মিছিলে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং। সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে বিপুল উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় মিছিলে সামিল হন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক।
মিছিলের সুসজ্জিত একটি গাড়িতে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিংরা। ওয়াটগঞ্জ চত্বরে মিছিল পৌঁছোতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানে আগে থেকেই তৃণমূলের একটি অস্থায়ী মঞ্চ ছিল। সেই মঞ্চ থেকেই কৈলাস মিছিল লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির মিছিলের উদ্দেশ্যে গালিগালাজেরও অভিযোগ ওঠে। পাল্টা বিজডেপির মিছিল থেকেও পতাকা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকা কর্ডন করে রাখে পুলিশ। RAF-এর কর্মীরাও এলাকা ঘিরে রাখেন। তৃণমূলের মঞ্চের কাছে যাতে মিছিল পৌঁছোতে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে RAF ও পুলিশকর্মীরা।
অন্যদিকে, যে গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ সেখানে ছিলেন কৈলাশ, মুকুল, অর্জুনরা। গাড়ির একাংশ ঘিরে রাখেন তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীরা। শেষমেশ বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই মিছিল এগিয়ে যায় হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.