শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিন্ন করছে বিজেপি! নেওয়া হতে পারে কড়া অবস্থান
শোভন-বৈশাখীকে রাজনীতির মূলস্রোতে ফেরাতে কম চেষ্টা করেনি বিজেপি। আবারও সব চেষ্টা বৃথা করে গোল বাঁধালেন দু-জনে। বিজেপিকে গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিলেন তাঁরা। এবার কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা ভালোভাবে নিচ্ছেন না শোভন-বৈশাখীর এই দলকে অপদস্থ করার বিষয়টি। বিজেপি তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ছেঁদো যুক্ত মানতে নারাজ বিজেপি
কেন পূর্বঘোষিত দলীয় কর্মসূচিতে গেলেন না শোভন-বৈশাখী? তার কোনও যথার্থ ও বিশ্বাসযোগ্য কারণ দর্শাতে পারেনি কোনও পক্ষই। বৈশাখী একবার বলেছেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্নের মুখে জানিয়েছেন শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারেননি। কিন্তু এই ছেঁদো যুক্ত মানতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বিজেপি!
বিজেপি ময়দানে নেমে পড়েছে কিন্তু নেতা উধাও। এই পরিস্থিতিতে লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কোনওরকমে মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তা সামাল দিয়েছেন। কোনওরকমে ১২ কিলোমিটার বাইক ব়্যালির পরিবর্তে ৩ কিলোমিটার মিছিল করেই ইতি টানেন তাঁরা। এরপর শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে রীতিমতো কড়া ব্যবস্থা নিতে আসরে নামতে চলেছে বিজেপি।

শোভন-বৈশাখী মিছিলে গরহাজির হতেই ঘরে তালা
রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে মুকুল রায়ের ঘরচি বরাদ্দ হয়েছিল শোভন-বৈশাখীর জন্য। এদিন শোভন-বৈশাখী মিছিলে গরহাজির হতেই সেই ঘরে তালা পড়ে যায়। আর শোভন-বৈশাখীর নাম লেখা কাগজ ছিঁড়ে ফেলা হয় দরজা থেকে। যদিও তা মানতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতারা। দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, দলীয় অফিসে কারও নামে কোনও ঘর রয়েছে কি না আমার জানা নেই!

শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে মুখে নরম মনোভাব
দিলীপবাবুর এই কথায় এবং ঘটনা পরাম্পরায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে মুখে নরম মনোভাব দেখালেও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বিজেপি। ১৬ মাস ২০ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। তারপর কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের দেখা যায়নি। দিলীপ ঘোষের ডাল-ভাত কটাক্ষের পর থেকেই রাজনীতি থেকে অন্তরালে ছিলেন তাঁরা।

মিছিল করে রাজ্য দফতরে আসার কথা ছিল শোভন-বৈশাখীর
সম্প্রতি অমিত শাহ রাজ্য সফরের আসার পর শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে আসন্ন ভোটে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন বঙ্গ বিজেপিকে। তারপরই দিলীপ ঘোষ কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর বৈশাখীকে করা হয় কমিটির সহ-আহ্বায়ক। তারপরই উভয়ে মিছিল করে রাজ্য দফতরে আসবেন বলে কর্মসূচি স্থির হয়েছিল।

বিজেপিকে গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিয়েছেন শোভন-বৈশাখী
দীর্ঘ টালবাহানার পর বিজেপিতে পদ মিলতেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেরুয়া জার্সিতে প্রথম রাজনৈতিক ময়দানে নামার কথা ছিল। তাঁদের স্বাগত জানানোর মিছিলেই উপস্থিত হলেন না শোভন-বৈশাখী। কিন্তু কেন বিজেপিকে গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিলেন তাঁরা, তার উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল। এর পিছনে তৃণমূল-সংসর্গ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।