কলকাতা: আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোই সিপিএমের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু যে রকম জনরোষ দেখা গিয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাতে তৃণমূলকে সঙ্গে নিলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব হবে না। এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

কারণ, ওই পথে হাটতে গেলে‌ উল্টো ফল হয়ে যাবে বিজেপির জয়ের পথ পরিষ্কার হবে। সে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিকে হারানোর প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনের জন্যই তৃণমূলকে হারানো দরকার।

ইয়েচুরির বক্তব্য, কেন্দ্রের সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিজেপি দেশের সংসদ আদালত নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলির ভূমিকা খর্ব করছে। এরই রেশ টেনে তিনি দেশকে বাঁচাতে বিজেপিকে ‌ ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানান।

সে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোটাই তার প্রাথমিক লক্ষ্য এবং প্রতিটি রাজ্যের বিজেপিকে হারানো দরকার বলে জানান। তবে কিভাবে হারানো যাবে সে কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইয়েচুরির বক্তব্য, একেকটি রাজ্যে এক এক রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ফলে বিহারের মত বাংলাতে বিজেপি ছাড়া সকলে একজোট হলেই হবে তার নয় । তাঁর মতে , রাজনীতিটা পাটিগণিত নয় যে দুই আর দুইয়ে সব সময় চার হবে।

বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত মেনে নিয়েও তিনি উল্লেখ করেন, তৃণমূল বিজেপিকে নিয়ে এসেছ এবং কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে সরকারে ছিল। তাছাড়া রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখন চাইছে এবার তৃণমূল হারুক। ফলে সেই তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি বিরোধী লড়াই করতে গেলে বিজেপির জয়ের রাস্তা সাফ হবে। এমন চিন্তা করলে উল্টো ফল দেবে।

সেক্ষেত্রে বিকল্প কি হতে পারে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, বিজেপি এবং তৃণমূল দুটি দলকে পরাস্ত করতে হবে। আগামি দিনে এই দুই পক্ষের ভিতর মেরুকরণ করতে মিডিয়াকে ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। তার মতে দেখানো হবে এই দুই পক্ষের মধ্যে নানা ইস্যুতে ঝগড়ার রয়েছে। বিজেপি এবং তৃণমূল দুয়ের বিকল্প হিসেবে বামপন্থীদের জোট বাঁধতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।