লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন মমতা! জনসংযোগই উদ্দেশ্য আমজনতার সঙ্গে
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র তাঁর সরকারকে দুয়ারে দুয়ারে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার আগে ঘোষণা করেন, রাজ্যের সমস্ত মানুষ এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে যে সেই আওতার বাইরে থাকবেন না, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল অবশেষে।

সরকারি সুবিধা নেন না, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নেবেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানালেন, তিনিও নেবেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কারণ তিনি কোনও সরকারি সুবিধা নেন না। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা তিনি নেবেন। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন ইচ্ছা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনও সরকারি সুবিধা নিই না। তাই এটা নেব। এটা আমার সংগ্রহশালায় থাকবে।

জনতার সঙ্গে লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে লাইনে দাঁড়াবেন তিনি। আমজনতার মতো লাইন দিয়েই তিনি এই কার্ডটি সংগ্রহ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি সংলগ্ন হরিশ চ্যাটার্জি রোডের জয়হিন্দ ভবনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতরণের শিবির করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন।

বেতনও নেন না, পুরোটাই দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন সরকারি কোনও সুবিধা নেননি। এমনকী তিনি তাঁর বেতনও নেন না। পুরোটাই দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। সাংসদ থাকাকালীনও তিনি বেতন নিতেন না। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করে প্রথম সরকারি সুবিধা গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। তাঁর এই লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংগ্রহ করা নিয়ে নজর রাজনৈতিক মহলে।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংগ্রহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিবিরে উপস্থিত হয়ে তিনি শুধু নিজের কার্ড সংগ্রহ করবেন না, উপস্থিত এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের ভালোমন্দ শুনবেন-বুঝবেন। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও বার্তা দেবেন তিনি।
মোদীর প্রকল্প চালু করে কৃষকদের পাশে মমতা, 'কিষাণ সম্মান নিধি’ এবার বঙ্গেও