বিজেপিকে টার্গেট করে শরিক নীতীশ শিবিরের শক্তিশেল! একুশের ভোটের আগে অসমে পারদ চড়ছে
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন দল থেকে বিজেপিতে হেভিওয়েটদের যোগদান অব্যাহত রয়েছে। একুশের ভোটের আগে এই ঘটনা বাংলাতে যেমন হচ্ছে তেমনই অসমের রাজনীতিতেও তা অব্যাহত। একই ছবি অরুণাচল প্রদেশে। এদিকে, এমন এক পরিস্থিতিতে বিহারে বিজেপি জোট সরকারের জেডিইউ কার্যত উত্তরপূর্বের রাজনীতিতে বিজেপির চক্ষুশূল!

অরুণাচলের বদলা অসমে নিতে চায় নীতীশ শিবির!
অরুণাচল প্রদেশে কয়েকদিন আগেই বিজেপির শরিক দল নীতীশের জেডিইউ ছেড়ে ৬ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। বিষয়টিকে ভালোভাবে না নিলেও, খুব একটা ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেনি জেডিইউ। এবার উত্তরপূর্বের মাটিতেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নীতীশের দল ৩২ জন প্রার্থী অসম ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধেই দাঁড় করাচ্ছে।

কেন অসমে বিজেপিকে মাত দেওয়ার সম্ভাবনা দেখছে জেডিইউ?
জেডিইউ শিবিরের দাবি, একটা সময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমার অসমের জন্য একাধিক কাজ করেছেন। আর সেদিক থেকে দেখলে, অসমে মানুষ নীতীশকে পছন্দ করেন। এছাড়াও পার্টি অসমের বুকে মুসলিম যুবকদের সংখ্যা বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছে। বহু মুসলিম যুবক নীতীশের পার্টিতে যোগও দিয়েছেন। ফলে পার্টি মনে করছে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক সঙ্গে নিতে বিজেপিকে মাত দেওয়ার চ্যালেঞ্জ কিছুটা হলেও সহজ হবে তাঁদের কাছে।

বাংলাতেও বিজেপি-জেডিইউ সংঘাত!
জানা গিয়েছে, শুধু অসম নয়, বাংলার ভোটেও নীতীশ শিবির প্রার্থী দিচ্ছে। যার ফলে, বাংলায় বিজেপির হিন্দি বলয়ের ভোটব্যাঙ্কে সমস্যা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। মূলত, বিহার-বাংলা সীমান্তের একাধিক অঞ্চল এই মুহূর্তে পাখির চোখ করে রেখেছে নীতীশ শিবির।

উত্তরপূর্বে জেডিইউয়ের ফলাফল
এদিকে, উত্তরপূর্বে রাজনীতিতে জেডিইউ সেভাবে অসমে দাপট দেখাতে পারেনি। ২০২০ সালে অরুাচলে জেডিইউ ৭ টি আসন জেতে। ২০১৬ সালে অসমের বিধানসভা নির্বাচনে ৪ আসনে প্রার্থী দিয়েও খালি হাতে ফেলে জেডিইউ। এদিকে, ২০২৩ সালের ত্রিপুরা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ত্রিপুরাতে জমি পোক্ত করতে ব্যস্ত জেডিইউ।