কোভ্যাক্সিন নিয়ে শঙ্কায় বিরোধীরা, এরই মাঝে ৫০ লক্ষ ডোজ কেনার মউ ব্রাজিলের
কোভ্যাক্সিনের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য গতকালই ভারত বায়োটেককে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া। ভারত বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এল্লা জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য সব দেশকে কোভ্যাকসিন সরবরাহ করা। এরই মাঝে ব্রাজিলের বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির একটি সংগঠন ভারত বায়োটেকের থেকে টিকা কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। কোভ্যাকসিনের পাঁচ মিলিয়ন ডোজ কেনার বিষয়ে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে তাদের কথাবার্তাও হয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্রাজিলের সংস্থা মউ স্বাক্ষর করেছে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে
ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অফ ভ্যাকসিন ক্লিনিকস ইতিমধ্যেই একটি মউ স্বাক্ষর করেছে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে। ব্রাজিলের ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে সেই সংক্রান্ত তথ্যও আপলোড করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়া এখনও বাকি। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা অ্যানভিসা এখনও পর্যন্ত কোনও কোরোনার প্রতিষেধক ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেয়নি।

১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবার উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা যাবে
এদিকে ভারত বায়োটেকের তৈরি প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যে কারও উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা যাবে। এই মূহূর্তে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। গতকালই পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

১০০ শতাংশ নিরাপদ
ড্রাগস কন্ট্রোলসার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়া ভি জি সোমানি জানিয়েছিলেন, 'কোথাও যদি এতটুকুও সংশয়ের জায়গা থাকত কোনও কিছুর ব্যবহার নিয়ে, তবে আমরা কোনওদিনই অনুমোদন দিতাম না। এই ভ্যাকসিনগুলি ব্যবহারের জন্য ১০০ শতাংশ নিরাপদ।' কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। গোটা দেশ মিলিয়ে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার লক্ষ্য ছিল।