সিডনি: তৃতীয় টেস্টের জন্য সোমবারই সিডনি উড়ে গিয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল৷ টিম ইন্ডিয়ার জন্য স্বস্তির খবর, দলের প্রত্যেকেই কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটেভি এসেছে৷ বৃহস্পতিবার থেকে এসসিজি-তে শুরু হচ্ছে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট৷
সোমবার এক বিবৃতিতে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমস্ত সদস্য এবং সাপোর্ট স্টাফের কোভিড টেস্টের ফল নেগেটিভ এসেছে। কোভিড টেস্টের রিপোর্ট ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক৷ কারণ বছরের প্রথম দিনেই বায়ো-বাবল নিয়ম লঙ্ঘন করে মেলবোর্নের এক রেস্তোয়াঁয় খেতে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, পৃথ্বী শ, শুভমন গিল, ঋষভ পন্ত ও নভদীপ সাইনি৷ এ নিয়ে বির্তক দেখা দেয়৷ এই পাঁচ ক্রিকেটারকে আইসোলেশনেও রাখা হয়।
ফলে মেলবোর্ন থেকে সিডনি উড়ে যাওয়ার আগে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু স্বস্তির খবর, প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ ফলে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে সিডনি উড়ে যায় দুই দলের ক্রিকেটাররা৷ সিডনিতে আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় টেস্ট।
মেলবোর্নে ভারত জেতায় চার টেস্টের সিরিজ এখন ১-১৷ এই অবস্থায় সিডনিতে শুরু হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট৷ এই টেস্ট জিতলেই বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি ধরে রাখতে পারবে ভারত৷ একই সঙ্গে টানা দু’বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি থাকবে টিম ইন্ডিয়ার সামনে৷ শেষবার বিরাট কোহলির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত৷
চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোহলি৷ অ্যাডিলেড ওভালে পিঙ্ক বল টেস্টে ৮ উইকেটে হারে ভারত৷ শুধু তাই নয়, অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া৷ যা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর৷ এই টেস্টের পরই পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বিরাট দেশে ফেরে৷
ফলে মেলবোর্নে ঐতিহাসিক বক্সিং ডে টেস্টে ভারতকে নেতৃত্বে দেন অজিঙ্ক রাহানে৷ সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে মেলবোর্নে ভারতকে সিরিজে সমতায় ফেরান ক্যাপ্টেন রাহানে৷ ৮ উইকেটে বক্সিং ডে টেস্ট জিতে নেয় ভারত৷ ফলে সিডনি টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷ প্রথম দু’টি টেস্ট না-খেললেও শেষ দু’টি টেস্ট খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রোহিত শর্মা৷ সিডনিতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে মেলবোর্নে টিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ‘হিটম্যান’৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.