স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ: ভোটের দামামা বাজতেই উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এবার বিজেপির মন্ডল সভাপতিকে গুলি করার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য শামশুল হক ও এলাকার তৃণমূল নেতা মহন্মদের বিরুদ্ধে।

গুরুতর আহত মন্ডল সভাপতি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে, মালদহের সামসী এলাকায়।

তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে তাই এধরনের সন্ত্রাস করছে তৃণমূল দাবি বিজেপির। পাল্টা তৃণমুলের দাবি ভিত্তিহীন অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে,গুলিবিদ্ধ বিজেপির মন্ডল সভাপতির নাম সাদেক আলী ওরুফে কালু(৩৭)। বাড়ি সামসী এলাকায়।গুলিবিদ্ধ সাদেক আলী বিজেপির মন্ডল সভাপতি। তিনি জানান, রবিবার সন্ধ্যায় সামসিতে বিজেপির কার্যকারী সভা ছিল। সেই সভা শেষ করে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় এলাকার তৃণমূলের প্রধান সারিনা বিবির স্বামী মহাব্বাত আলীর নেতৃত্ব তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনায় তার বাম হাতে গুলি লাগে। ঘটনায় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাঁর আরও অভিযোগ সম্প্রতি তৃণমূলের সন্ত্রাস ও উন্নয়নের জন্য দলে দলে মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। যার ফলে এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সর্মথকদের ধস নামছে। আর সেই কারনে তৃণমূলের নেতারা হতচকিত হয়ে আমাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু।

এই বিষয়ে আহতের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “আমরা বিজেপি করি। আর সেই কারনে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য সামশুল হক ও স্থানীর প্রধান সারিনা বিবির স্বামী মহব্বাত আলীর নেতৃত্বে এদিন ছেলেকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করছে। এলাকায় বিজেপিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ দলে দলে যোগদেন। আর যার ফলে তৃনমূল বিধানসভা ভোটের আগে সন্ত্রাস ভয় দেখানোর জন্য এধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।”

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য সামশুল হক বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটা বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল। গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তাদের পায়ের তলায় জমি নেই। এসব নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের গোলমাল। এখন তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বাজার গরম করতে চাইছে। “

এই বিষয়ে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য সামশুল হক ও মহাব্বাতের যোগ সাজোসে আমাদের সভাপতির উপর গুলি চালিয়েছে। খুনের চেষ্টা করেছে। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে।তৃণমূলের নৌকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। দলে দলে সংখ্যালঘু মানুষ থেকে অন্যান্যরা বিজেপিতে যোগদিচ্ছে। আর যেই কারনে এই ভাবে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। আর না হলে আমরা আন্দোলনে নামবো। আমরা বদল চাই আগামী দিনে এর বদলাও নেওয়া হবে।”

পাল্টা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, মালদহ জেলাতে বিজেপি তার মাটি হারিয়েছে। বর্গী এসেছিল মালদহে। বলেছিল অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু কেউ যোগ দেয়নি। জেলা পরিষদের যে নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন। এইসব ছোট খাটো বিষয়ে সে যায় না। বিজেপির অভিযোগ আমরা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। যদি প্রমান থাকে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।”

যদিও জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।