রাজ্যে মন্ত্রীদের আয়ু আর ৬ মাস, আইপিএসদের নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন সব্যসাচী দত্ত
তৃণমূলের মন্ত্রীদের আয়ু আর ৬ মাস। তারপরেই তাঁরা শ্রীঘরে যাবেন। বিজেপির আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দিলীপের সুরেই সুর মেলালেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন তৃণমূল সরকার আর থাকবে না আঁচ করেই চাকরি বাঁচাতে রাজ্যের আইপিএস অফিসারা রাতের অন্ধকারে গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাই যে পুলিস কর্মী ও অফিসাররা শাসকের ক্রীতদাস হয়ে কাজ করছেন তাঁরা সতর্ক হোন। হুঙ্কার দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত।

মন্ত্রীদের আয়ু আর ৬ মাস
রাজ্যে তৃণমূল সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। রাজ্যের মন্ত্রীদের আয়ু আর ৬ মাস । তারপরেই তাঁরা শ্রীঘরে যাবেন। বিজেপির আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির কর্মসূচিেত যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ বিজেপি কর্মী সমর্থক। লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। মুকুল অনুগামী হয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

পুলিশকে হুঁশিয়ারি
পুলিশ শাসক দলের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। একাধিক সভায় এই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সুরে সুর মিলিয়েই এবার পুলিশকে বিঁধেছেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেছেন এখনও যাঁরা ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে চান পুলিশে তাঁরা সতর্ক হোন। আর পাঁচ মাস পরে বিজেপি সরকারের অধীনেই চাকরি করতে হবে তাঁদের। যাঁদের কথায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের সকর্ত করেছেন সব্যসাচী দত্ত।

আইপিএস অফিসাররা যোগাযোগ করছেন
বিজেপি সরকারে আসবে আঁচ করেই নাকি রাজ্যের আইপিএস অফিসাররা গোপনে রাতের অন্ধকারে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সব্যসাচী দত্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল দাবি করেছিলেন তিনি ২১ জন আইপিএস অফিসারের তালিকা তৈরি করেছেন যাঁরা শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকদের বারবার নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশকে আক্রমণ বিজেপি
পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে অভিযোগ করে একাধিক বার আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক শুভেন্দু অধিকারী সকলেই এক সুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন। পুলিশকে টার্গেট করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
জিতেন্দ্র সরলেও আক্রমণ কমেনি, বাবুলের গড়ে বিজেপি নেতাকে টার্গেট করে গুলি