শোভন-বৈশাখী নাস্তানাবুদ করেই ছাড়ছেন! বিজেপির অবস্থা শাঁখের করাতের মতো
শোভন-বৈশাখীকে হৃদমাঝারে স্থান দিতে গিয়ে কি নাস্তানাবুদই না হতে হচ্ছে বিজেপিকে। সাড়ে ১৬ মাস ধরে যাচ্ছি-যাবো করে কাটিয়ে শেষে কি না বিজেপিকে গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় আর তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে যোগ দেওয়ার পর প্রায় দেড় বছর কাটতে চলল অজ্ঞাতবাসে রয়েছেন শোভন।

বিজেপিকে গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিলেন শোভন-বৈশাখী
দীর্ঘ টালবাহানার পর বিজেপিতে পদ মিলেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর সোমবার তাঁদের গেরুয়া জার্সিতে রাজনৈতিক ময়দানে নামার কথা ছিল। তাঁদের স্বাগত জানানোর মিছিলেই উপস্থিত হলেন না শোভন-বৈশাখী। কিন্তু কেন বিজেপিকে গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিলেন তাঁরা, তার উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।

অস্বস্তিতে বিজেপি! জবাব চাইলেন কেন্দ্রীয় নেতারা
শোভন-বৈশাখী না আসায় মুখরক্ষা করলেন মুকুল-কৈলাশ। কিন্তু এজন্য যে অস্বস্তিতে পড়তে হল বিজেপিকে, তার জবাব চাইলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেলেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ফোন করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছেন, শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারেননি মিছিলে। আর শোভন জানান, বৈশাখীর শরীর খারাপ থাকায় তিনিও যাননি।

শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে কী অবস্থান বিজেপির
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তাঁদের আবার কোনও কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছে। বিজে্পি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অন্য দল থেকে আসা নেতা তো মানিয়ে নিতে দেরি হচ্ছে। আমাদের দরজা খোলাই আছে, আমরা কাজের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, যেদিন মনে করবেন আসবেন। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়!

শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠকে বাগবিতণ্ডা রাতভর
কর্মসূচি ঠিক হয়ে যাওয়ার পর প্রধান চরিত্রই অনুপস্থিত থাকা একেবারে সুখকর দৃশ্য নয়। কেন বিজেপিকে এভাবে অপদস্থ করলেন শোভন, সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে! ঠিক কী কারণে শোভনের এই ডিগবাজি, তা অস্পষ্ট থেকে গিয়েছে। এই মিছিলের আগের দিন অর্থাৎ রবিবার রাতভর শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। সেখানে বাগবিতণ্ডাও হয়।

দ্বিধা-দ্বন্দ্ব? দোদুল্যমানতা? নাকি তৃণমূলের কোনও চাল?
এখন প্রশ্ন কী বৈঠক, কেন বৈঠক? সব কিছু কথা হয়ে যাওয়ার পর শোভন-বৈশাখীকে মুখ্য চরিত্র করে বিজেপি ময়দানে নামতে চলেছিল। তারপর কী এমন হল, তাঁরা বেঁকে বসলেন। তবে কি শোভন এখন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন, দোদুল্যমানতা থেকে এখনও বেরোতে পারেননি তিনি? নাকি এর মধ্যে তৃণমূলের কোনও চাল রয়েছে?

তৃণমূল-সংসর্গ বিজেপিতে যোগ দিয়েও, এবারও কি কাঁটা
শোভন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সাড়ে ১৬ মাসে কোনও কর্মসূচিতে অংশ নেননি। এর মধ্যে আবার একাধিকবার তিনি তৃণমূল-সংসর্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি ছুটেছিলেন দিদির হাতে ভাইফোঁটা নিত। তারপর রাজ্য সরকারের চলচ্চিত্র উৎসবেও গিয়েছিলেন বৈশাখীকে নিয়ে। বিজেপির তরফে যতবার চেষ্টা হয়েছে, তাঁকে সক্রিয় করার, কোনও না কোনও ইস্যুতে তৃণমূল-যোগ সামনে এসেছে, তবে কি এবারও তেমনই কোনও বিষয়! জল্পনা কিন্তু চলছেই!