স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: গঙ্গাসাগরের পুন্যার্থীদের এবার ট্রেনে চড়ার আগে করোনা পরীক্ষা দিতে হবে। ব়্যাপিড টেস্টে উত্তীর্ণদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে৷

সোমবার নবান্নে রেলকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠক রয়েছে৷ সেখানেই প্রস্তুতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশনে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া, শিয়ালদহ, নামখানা, কাকদ্বীপ তিন জায়গাতেই শরীরের তাপমাত্রা নেওয়া হবে। থাকবে আইসলেসন সেন্টার। সন্দেহজনক হলেই পাঠানো হবে হাসপাতালে।

জানা গিয়েছে,তীর্থ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নামখানা, কাকদ্বীপের ট্রেনের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি শুধু ডাউনের ট্রেনগুলি যাবে, ১৩ থেকে ১৬ তারিখ শিয়ালদহগামী (Sealdah) ট্রেনগুলি ঢুকবে। ডিআরএম জানান, নামখানা, কাকদ্বীপ শাখায় বাড়তি আরও পনেরোটি ট্রেন চলবে আগামী ৭ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন দৈনিক ৮৪টি ট্রেন চলছে। মেলার সময়ে দৈনিক ৯৯টি ট্রেন চলবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার মেলায় ৫টি অস্থায়ী হাসপাতাল থাকছে। সবমিলিয়ে শয্যা থাকছে ৬৫৮। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বুথের সংখ্যা ৩৮। এর পাশাপাশি গতবারের চেয়ে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলার মূল প্রবেশপথে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থাকছে র‌্যাপিড পরীক্ষার ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি থাকছে কোয়ার সেন্টার ও সেফ হোম। এই প্রথম মৃতদেহ সৎকারের জন্য কবরস্থান ও চুল্লির ব্যবস্থাও থাকছে মেলায়।

আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরই এসে পড়বে মকরসংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রতি বছর এই তিথিতে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান সাগরদ্বীপে, কপিলমুনির আশ্রমে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি আলাদা। করোনার কথা মাথায় রেখে তাই বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোভিড পরিস্থিতিতে চলতি বছর বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নির্দেশিকা দিয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। প্রতিবারের মতো এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ ও ৯ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরেই থাকবেন।তার আগে ৭ জানুয়ারি নামখানাতে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।