স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : বঙ্গ বিজেপি চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের উপর। তার উপরে ক্ষমতা প্রদর্শন করার জন্য তুঙ্গে গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের পরিকল্পনা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে রাজ্য এবিভিপির কার্যকলাপ। সমর্থন রয়েছে আরএসএসএরও। এরই মাঝে আরও চমক দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবিভিপি। তাঁরা এবার তাঁদের সমস্ত পরিকল্পনা বছরের শুরুতেই করে নিচ্ছে। আগামী দিনে ব্যাপক আন্দোলনে নামবে তাঁরা বলেই সূত্রের খবর। রাজ্য সরকার ও তাঁদের ছাত্র পরিষদ সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে চমকে দেওয়ার জন্য বড় পরিকল্পনা করছে তাদের রাজ্য সংগঠন। কী কী পরিকল্পনা ও চমক তাঁরা নিতে চলেছেন তা জানা যাবে সপ্তাহের শুরুতেই।
এবিভিপি জানিয়েছে, ‘৪ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে দুপুর ১টায় একটি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। ওই প্রেস কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রেস কনফারেন্সে বিশেষভাবে উপস্থিত থাকবেন এবিভিপি’র রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদিকা সুশ্রী নিধি ত্রিপাঠি মহাশয়া। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শ্রী সপ্তর্ষি সরকার, দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত সম্পাদক শ্রী সুরঞ্জন সরকার মহাশয় ও দক্ষিণবঙ্গ ছাত্রী প্রমুখ কুমারী পায়েল ধর।’
সম্প্রতি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর ৬৬ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এবিভিপি। অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের সেবা কাজকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেরা কাজে এই অধিবেশনে সামাজিক সংবেদনার কাজ হিসেবে কলকাতার ৮৬ জন এবিভিপি কর্মীর চক্ষুদান কর্মসূচিকে বিশেষ ভাবে রিপোর্টে পেশ করা হয়। পাশাপাশি বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি প্রস্তাবে পশ্চিমবাংলার রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে রাজনৈতিক সন্ত্রাস তথা গণতন্ত্র হত্যার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
ওইদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পাদক হিসেবে শ্রী সপ্তর্ষি সরকার পুনঃনির্বাচিত হন। দক্ষিণবঙ্গ থেকে NEC হিসেবে ডাঃ নুপুর বিশ্বাস, শিবম রঘুবংশী, বিষ্ণু কান্ত, সঙ্গীত ভট্টাচার্য, পার্থ সারথি নির্বাচিত হন। CWC হিসেবে নির্বাচিত হন সুমন দাস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে এই বছরের যশবন্ত রাও কেলকার পুরস্কার বিজেতা B2V( Back to Village) প্রতিষ্ঠাতা শ্রী মণীশ কুমারকে তিনি পুরস্কার তুলে দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর ভাষণে বর্তমান ভারতে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের প্রসারের জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসা এবং জল সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গেই কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য তিনি যুবসমাজকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করেন বলে জানাচ্ছে এবিভিপি। সর্বশেষে সর্বভারতীয় পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ও NEC ঘোষণা করা হয়।
এই অধিবেশন হয় আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণ রেশমবাগ, নাগপুরে। ওইদিন প্রথমে এবিভিপি সর্বভারতীয় সভাপতি (প্রাক্তন) ডাঃ এস. সুবাইয়া মহাশয় এর প্রস্তাবিক ভাষণের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী চলা এই অধিবেশনের রূপরেখা সম্বন্ধে আলোকপাত করা হয় । এই বছর করোনা মহামারীর জন্য শারীরিক উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ২০০ জন এবং অনলাইনে প্রায় ১লক্ষ ১০ হাজার জন রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে সামিল হয়। এরপর এবিভিপি’র রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদিকা নিধি ত্রিপাঠি মহাশয়া বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করার সময় বর্তমান বছরে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে সারা দেশব্যাপী এবিভিপি’র যে সেবা কাজ তার বিবরণ পেশ করেন। এবং বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গে এবিভিপি করোনা মহামারীর সময় ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রায় ১ লক্ষ পরিবারকে এবিভিপি’রসেবা কাজের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করেন সেগুলো সর্বভারতীয় স্তরে উল্লেখ করেন। এরপর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই বছরের (২০২০-২০২১) জন্য এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে গুজরাট নিবাসী প্রফেসর ডঃ ছাগুন ভাই প্যাটেল মহাশয় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা হিসেবে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিধি ত্রিপাঠিকে নির্বাচিত করা হয়।
ভাইয়া জোশী প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বর্তমান ভারত তথা বিশ্বের সামাজিক পরিস্থিতি কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, ‘ভারতের মানুষ কখনো আত্মকেন্দ্রিক নয়, সবার কল্যাণে আমাদের উদ্দেশ্য । এছাড়া শক্তির অপব্যবহার নিয়ে উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, ‘শক্তি এমনই হোক, যে শক্তি দুর্বলকে সাহায্য করে। ভারতবর্ষ সারা পৃথিবীতে সুস্থ থাকার জন্য যোগা শিখিয়েছে।’ সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে চারটি বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয় এবং সকলের সম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব পাশ করা হয়। (১)আত্মনির্ভর ভারত (২) বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি (৩)করোনা মহামারী (৪) জাতীয় শিক্ষানীতি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.