পানাজি: সম্ভাবনা ছিলোই আর সেটাকে বাস্তব রূপ দিল সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে বছরের শুরুতে ফের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল মুম্বই সিটি এফসি। শনিবার ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে করা জোড়া গোলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করল আইল্যান্ডাররা। আর সেইসঙ্গে আট ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে গেল তারা।

গত ম্যাচের একাদশে জোড়া পরিবর্তন করে বছরের প্রথম ম্যাচে দল সাজান দুই কোচ। মুম্বইয়ের পক্ষে উল্লেখযোগ্য ছিল ফিট হয়ে হুগো বোউমাসের ফিরে আসাটা। সঙ্গে লোবেরার একাদশে ফেরেন মন্দার রাও দেশাই। অন্যদিকে কোস্তা এবং লালথাথাঙ্গাকে প্রথম এগারোয় রেখে স্ট্র্যাটেজি সাজান কিবু ভিকুনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের মধ্যে বোউমাসকে অবৈধ ট্যাকলে বাধা দেন কোস্তা। পেনাল্টি দিতে ভুল করেননি রেফারি। পেনাল্টি থেকে নাটমেগে বিপক্ষ গোলরক্ষক আলবিনো গোমসকে পরাস্ত করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যাডাম লে ফন্ড্রে। টুর্নামেন্টে তাঁর ষষ্ঠ গোল এটি।

১১ মিনিটে ফের গোল। এক্ষেত্রে নিজেদের বক্স থেকে আহমেদ জাহৌর বাড়ানো লম্বা বল কেরালা রক্ষণকে সম্পূর্ণ বোকা বানিয়ে বোউমাসের আস্তানায় জমা পড়ে। বল ধরে সামনে থাকা বিপক্ষ গোলরক্ষক আলবিনোকে পরাস্ত করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ফরাসি মিডফিল্ডারকে। দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর চেষ্টা দারুণভাবে জারি রাখে কেরালা। মুম্বই দুর্গের শেষ প্রহরী অমরিন্দরের দৌলতে একটি ক্ষেত্রে ভিসেন্তে গোমেজ এবং আরেকটি ক্ষেত্রে আব্দুল সাহাল সামাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে বিরতির ঠিক আগে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা নষ্ট করে মুম্বই স্ট্রাইকার ফন্ড্রে, যা ক্ষমার অযোগ্য। নইলে ব্যবধান ৩-০ হয়ে যেত তখনই।

দ্বিতীয়ার্ধেও তাগিদ বজায় ছিল কেরালার। ৫৫ মিনিটে কর্নার থেকে জর্ডান মারের গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। উলটোদিকে ৭০ মিনিটে ফের একবার পেনাল্টি আদায় করে নিয়ে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেন বোউমাস। কিন্তু স্পটকিক থেকে নেওয়া তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন আলবিনো গোমস। ৭৫ মিনিটে ভিসেন্তে গোমেজের দূরপাল্লার শট শরীর শূন্যে ছুঁড়ে আরও একবার নায়ক বনে যান মুম্বই গোলরক্ষক অমরিন্দর।

সবমিলিয়ে প্রথম কোয়ার্টারে করা জোড়া গোলেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় মুম্বইয়ের। তবে বছরের শুরুতে উপভোগ্য ম্যাচ প্রাপ্তি ফুটবল প্রেমীদের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।