নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম (MRSAM)। খুব শীঘ্রই এটি ভারতের আসবে বলে জানা গিয়েছে।
শত্রুপক্ষের ব্যালিস্টিক মিসাইল, ফাইটার জেট কিংবা অ্যাটাক হেলিকপ্টার মাঝ আকাশ থেকে নামিয়ে আনতে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে। ৭০ কিলোমিটার দূর থেকেও ফাইটার জেট নামিয়ে আনা সম্ভব এই সিস্টেমে।
ইজরায়েলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সিস্টেম তৈরি করছে ডিআরডিও। MRSAM যে কোনও ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল, এয়ারক্রাফট, ড্রোনও নামিয়ে আনা সম্ভব এর সাহায্যে। বর্তমানে কেবলমাত্র ভারতীয় নৌসেনা ও এয়ারফোর্সের হাতে আছে এই সিস্টেম।
অবশেষে এই সিস্টেম আসছে আর্মির হাতে। ডিআরডিও ইজরায়েলের ওই সংস্থার সঙ্গে ১৭০০০ কোটি টাকার উক্তি স্বাক্ষর করেছে এই সিস্টেম তৈরি করার জন্য। ২০০টি মিসাইল ও ৪০টি ফায়ারিং ইউনিট তৈরি হওয়ার কথা এই চুক্তি অনুযায়ী।
এটি যে কোনও পরিবেশে ও আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে। রণক্ষেত্রে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারে এটি। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই মিসাইল সিস্টেম তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। সেনার এরিয়াল অ্যাটাক আটকা আরও বেশি শক্তিশালী করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছিল সেনা।
অন্যদিকে, হাইপারসনিক মিসাইল টেস্ট করে বিশ্বের তাবড় শক্তিগুলির পাশেই নাম লেখাল ভারত। একদিকে যখন চিনের সঙ্গে সংঘাত চলছে, তার মধ্যেই হাইপারসনি মিসাইল টেস্ট করল ভারত। এপিজে আব্দুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে সেই টেস্টিং হয়েছে।
যাতে শব্দের থকে ৬ গুণ বেশি গতিতে ছুটেছে মিসাইল। সোমবার সকাল ১১ টা ৩ মিনিটে সেই পরীক্ষা করা হয়। অগ্নি মিসাইল বুস্টার দিয়ে ওই মিসাইল টেস্ট করা হয়। পাঁচ মিনিটেই সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়।
ডিআরডিও তৈরি করেছে হাইপারসনিক টেস্ট ডেমোনস্ট্রেটর ভেইকল। সেটিই এদিন পরীক্ষা করা হয়। সরকারি সূত্রে দাবি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন সহ হাইপারসনিক মিসাইল তৈরি করতে পারবে ডিআরডিও।
যা এক সেকেন্ডে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করবে। এদিন ডিআরডিও চিফ সতীশ রেড্ডির নেতৃত্বে এই মিসাইল টেস্ট হয়। সব প্যারামিটারই ছিল সঠিক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.