নয়াদিল্লি: ভ্যাক্সিন নিলেই করোনা থেকে মুক্তি। এই আশাতেই রয়েছেন প্রত্যেকে। তবে, ভ্যাক্সিন নেওয়াই শেষ কথা নয়। নিতে হবে বেশ কিছু সতর্কতাও। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, যারা ভ্যাক্সিন নিচ্ছে তাঁরা অ্যালকোহল খেতে পারবেন না। এতে শরীরের ইমিউন রেসপন্স কমে যেতে পারে।
ব্যাকটিরিয়া কিংবা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা থেকে বিরত রাখতে পারে এমন লক্ষ লক্ষ মাইক্রোঅর্গ্যানিজমকে নষ্ট করে দিতে পারে অ্যালকোহল। এর ফলে ভাইরাসের উপর আক্রমণকারী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় যে লিম্ফোসাইটে, সেটাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এমার্জেন্সি মেডিসিন স্পেশালিস্ট ড. রনক্স ইখারিয়া এক গবেষণার রিপোর্ট হিসেবে জানিয়েছেন, অ্যালকোহল নেওয়ার আগে ও পরে তাঁরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাতে দেখা গিয়ৈছে, তিন গ্লাস অ্যালকোহল খেলে রক্তে লিম্ফোসাইটের কোষ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাঞ্চেস্টারের অধ্যাপক শীনা ক্রুকস্যাংক জানিয়েছেন, লিম্ফোসাইট কমে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। আর ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর সেই প্রতিষেধকের রেসপন্স পেতে অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। অন্তত ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে ও পরে মদ খাওয়া যাবে না।
উল্লেখযোগ্যভাবে ভারতে অনুমোদন পেয়েছে দুটি ভ্যাক্সিন। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করে ডিসিজিআই। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দেশের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন, যা অনুমোদন পেল। এর আগে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ডিসিজিআই জানিয়েছে কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদ। দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা যাবে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে। আগামী ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য এই দুই ভ্যাকসিনকে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে সেরাম জানিয়েছিল, ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে কেন্দ্র বড়সড় বিনিয়োগ করতে পারে করোনা প্রতিরোধে। ৩০০-৪০০ মিলিয়ন কোভিশিল্ড ডোজ কিনতে পারে কেন্দ্র সরকার।
সেরাম কর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে কোভিশিল্ড ভারতেই সরবরাহ করা হবে। এরপর বাকি দেশগুলির পরিস্থিতির ওপর বিচার করে সরবরাহ ব্যবস্থা করা হতে পারে। মূলত আফ্রিকান দেশগুলি, ব্রিটেন, ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে কোভিশিল্ড সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পূর্ণ দেশীয় গবেষণায় তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ -ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে৷ ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়ার পর প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের কর্তারা দাবি করেছিলেন, ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে টিকাটি তৈরি হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে লড়াই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.