করোনা টিকাকরণে জন্য কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন, কারা পাবেন প্রথম টিকা? জেনে নিন বিশদে
নববর্ষ পড়তে না পড়তেই একের পর এক খুশির খবর শোনাতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী রবিবারই একজোড়া সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের ছাড়পত্রও দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই। আর তারপর থেকেই খুশির হাওয়া গোটা দেশজুড়েই। কিন্তু কারা প্রথম এই টিকা পেতে চলেছেন, কী ভাবেই বা টিকাকরণের জন্য নাম লেখাতে হবে জানেন কী ?

টিকাকরণ নিয়ে ধোঁয়াশা
রবিবারই সিরাম ইন্সস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে টিকাকরণের ছাড়পত্র দিয়েছে ডিজিসিআই। অন্যদিকে ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতের বায়োটের তৈরি কোভ্যাক্সিনেরও। এদিকে টিকাকরণের খবরে আম-আদমি খুশির জোয়ারে ভাসলেও পদ্ধতি, অগ্রাধিকার ও নাম নথিভুক্তি নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে।

টিকা পাবেন প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্য কর্মী
যদিও প্রাথমিক ভাবে দেশের সমস্ত স্বাস্থ্য সেবা কর্মী ও প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধাদেরই করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে ঠিক করেছে সরকার। এই ক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়া বিনামূল্যেই চলবে বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯-এর সুপারিশ মেনেই স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে বলে খবর। তালিকায় রয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্য কর্মী।

স্বাস্থ্যকর্মীদের পর কারা টিকা পাচ্ছেন ?
অন্যদিকে স্বাস্থ্য-কর্মীদের পরেই প্রথম করোনা টিকা পাবেন রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, হোমগার্ড, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কারা বিভাগ, পুরসভা, রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা। একইসাথে রাষ্ট্র, নগরোন্নয়ন, আবাসন বিভাগের কর্মীরাও পাবেন টিকা। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে এই ক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা প্রায় ২ কোটির বেশি।

এলাকাভিত্তিক টিকাকরণের সিদ্ধান্ত
অন্যদিকে যে সমস্ত এলাকায় করোনা দাপট বেশি সেই সমস্ত এলাকা চিহ্নিত করে টিকাকরণ চালানো হবে বলেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে প্রথম টিকা পাবেন ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সি নাগরিকরা। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও কোমরবিডিটি যুক্ত রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে খবর। পরবর্তীতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া শেষ হলে বাকি সাধারণ মানুষ টিকা পাবেন বলে জানা যাচ্ছে।

কী ভাবে নাম লেখাবেন ?
এদিকে টিকাকরণের পূর্বে নির্দিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রার্থীকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে হবে বলে জানা যাচ্ছে। জমা করতে হবে সরকারি সচিত্র পরিচয়পত্র বা আধার কার্ড। বায়োমেট্রিক, ওটিপি বা ডেমোগ্রাফিকের মাধ্যমে আধার অথেনটিকেশন করতে হবে বলেও জানা যাচ্ছে। তারপরেই জানানো হবে টিকাকরণের তারিখ ও সময়। আর এলাকাভিত্তিক বাবে এই পুরো কর্মকাণ্ডের দায়ভার থাকবে জেলা প্রশাসনগুলির উপর।
কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি, বিরোধীদের কটাক্ষের জবাবে কী বলছে বিজেপি