ওয়াশিংটন: ফের রেকর্ড হারে সংক্রমণ দেখল আমেরিকা। শেষ ২৪ ঘন্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হলেন ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ। যা কিনা এযাবৎকালে সর্বাধিক রেকর্ড।
করোনা মহামারীর জেরে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হল আমেরিকা। মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ে শুধু আমেরিকাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০.৪ মিলিয়ন।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক মাসগুলিতে মার্কিন মুলুকে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। শীর্ষ মার্কিন বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফৌসি ক্রিসমাসের ঠিক কয়েকদিন পরে দেশবাসীকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, হয়তো মহামারীর সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা আসছে। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ছুটির সময় ভ্রমণের জেরে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশ এক জটিল পরিস্থিতিতে চলে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে আমেরিকায় শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ। ৪.২ মিলিয়নেরও বেশি লোক ইতোমধ্যে তাদের ডোজ পেয়েছেন। ১৩ মিলিয়ন ডোজ বিতরণ করা হয়েছে।
ডিসেম্বরের শেষে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গোটা আমেরিকাবাসীকে আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে প্রোগ্রামটি সরাসরি লাইভ টিভিতে সম্প্রচার করা হয়। উল্লেখ্য, ৭৮ বছর বয়সী বাইডেন অত্যন্ত সংক্রামক শ্বাসকষ্টজনিত রোগের জন্য উচ্চ করোনা ঝুঁকির বিভাগে রয়েছেন।
শুধু বাইডেন না লাইভ টিভি সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা নিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এছাড়া বিল ক্লিন্টন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা-এরা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন করোনার টিকা নিতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। অন্যদিকে ট্রাম্প এখনও এই টিকা নেননি। কবে এই টিকা নেবেন, বা আদৌ নেবেন কি না, তা-ও জানাননি।
আরও পড়ুন – ITC-র পাঁচতারা হোটেল করোনার হটস্পট, আক্রান্ত ৮৫
তবে আমেরিকায় একটি ব্যাপার বেশ চিন্তাজনক। দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর জেরে দেখা গিয়েছে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে উচ্চ হারে মৃত্যু এবং অসুস্থতা দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন পোল থেকে উঠে এসেছে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে অনিচ্ছুক মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গরাই। আর এই নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তায় রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের মাথারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.