আইএসএলে প্রথম জয় লাল-হলুদের। এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম ওডিশা এফসি ম্যাচের বিশ্লেষণে কলকাতা ২৪x৭-এ কলম ধরলেন আইএসএলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার রহিম নবি।
চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও কামব্যাক করার পর থেকেই প্রত্যাশাটা বেড়েছিল। আমি জানতাম গত ম্যাচের ফাইটিং স্পিরিটটা রাখতে পারলেই ওডিশার বিরুদ্ধে জিতে বেরিয়ে যাবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কে ভালো খেলল, কে খারাপ খেলল, কোথায় ভুলভ্রান্তি হল ওসব আজ থাকুক। ইস্টবেঙ্গল দলটার প্রয়োজন ছিল একটা তিন পয়েন্টের আর সেটা এসেছে। সুতরাং, ওডিশার বিরুদ্ধে সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে দলটা।
তিন পয়েন্ট ঘরে এসেছে এর চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না। সত্যি বলতে এর আগে ভালো খেলেও তো তিন পয়েন্ট আসছিল না। এদিন প্রথম থেকেই টিমটার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হচ্ছিল দলটা জেতার জন্যই মাঠে নেমেছে। অনেক ইতিবাচক মনোভাব এই ম্যাচে শুরু থেকেই লক্ষ্য করেছি। আমার মনে হয় ওডিশার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটা পজিশনে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা সুনামের সঙ্গে এদিন খেলেছে। তবে এই জেতাটাকে, এই পারফরম্যান্সকে যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফাওলার ব্রিগেড, এটাই চাইব।
একটা টিম যখন ম্যাচ জেতে তখন যাই ভুলভ্রান্তি হোক, মানসিকভাবে দলটা দারুণ চাঙ্গা থাকে। তাই এই দলটাকে নিয়ে আজ কাটাছেঁড়া করতে চাই না। তবে হ্যাঁ, গোল খাওয়ার অভ্যেসটা যত কমাবে তত ভালো। রাজু গায়কোয়াড় এদিন শুরু থেকে খেলল। এই রাজুর সঙ্গে আমি এই ইস্টবেঙ্গলেই একসময় খেলেছি। ও আমার পুরনো সতীর্থ। দীর্ঘদিন পর দেখছি ওকে তাই বুঝতে পারছিলাম না কী অবস্থায় আছে। তবে প্রথমদিনের নিরিখে ওর খেলা আমার ভালো লেগেছে। ব্রাইটকে নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি করব না কিন্তু যেটুকু দেখলাম আশ্বস্ত করেছে। সবমিলিয়ে দারুণ ফুটবল। ইস্টবেঙ্গলের খেলা আমায় দারুণ আনন্দ দিয়েছে।
অনেকে বলবে এতকিছুর পরেও ক্লিনশিট রাখতে পারল না। আমার দরকার নেই। যে জায়গায় দাঁড়িয়েছিল দলটা সেখানে দিনের শেষে দরকার ছিল তিনটে পয়েন্ট। আমি বারংবার বলছি। অন্তত এই ম্যাচের নিরিখে আমার কাছে ইস্টবেঙ্গলের ৩-০ যা ৩-১ ফলাফলও একই ব্যাপার। আগামী ম্যাচগুলোতে এই পারফরম্যান্স রাখতে পারলে আমি দলটাকে লিগ শেষে ভালো জায়গায় দেখতে পাচ্ছি। আমি বেশ আশাবাদী ওডিশার বিরুদ্ধে এই পারফরম্যান্স দেখে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.