কলকাতা: প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সম্পূর্ণ ভালো রয়েছেন। তাঁর শরীর নিয়ে এখন কোনও উদ্বেগ নেই। রবিবাসরীয় সকালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশ করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন ড: রুপালী বসু।
ড: বসু জানান, ‘উনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আমি সকালে ওনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং কথা বলেছি। আমি যখন দেখা করেছি তখন উনি প্রাতঃরাশ সারছিলেন। স্ত্রী ডোনা, দাদা স্নেহাশিষ এবং বৌদির সঙ্গেই উনি ছিলেন সে সময়। দেখে একদম সুস্থ মনে হয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দেই সমস্তকিছু করছেন। হতে পারে কিছুটা ক্লান্ত তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরীক অবস্থা নিয়ে কোনও উদ্বেগের কারণ নেই।’
মহারাজের চিকিৎসা পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া নিয়েও একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া বুলেটিনে তাঁর মতামত জানান ড: বসু। তিনি বলেন, ‘ওনার রাইট করোনারি আর্টারিতে ইতিমধ্যেই আমাদের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করতে হয়েছে। স্টেন্ট বসিয়ে রক্ত সংবহন স্বাভাবিক করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ২টি ব্লকেজ আর্টারি রয়েছে, যেগুলিতে স্টেন্ট বসিয়ে রক্ত সংবহন স্বাভাবিক করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াকরণের মধ্যেই রয়েছি আমরা।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কবে থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন মহারাজ। উডল্যান্ডস সিইও বলেন, বাকি দু’টি আর্টারিতে স্টেন্ট বসানোর ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন মহারাজ। ড: বসু বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে তাঁর কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন আছে বলে। ওনার বয়সও অল্প আর সে কারণেই আমরা অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করেছি তাঁর হৃদযন্ত্রে।
তবে আমরা দেশের সেরা কার্ডিওলজিস্টদের মতামত এই মুহূর্তে গ্রহণ করছি আর আলোচনার পরেই বাকি দু’টি আর্টারিতে স্টেন্ট বসানো নিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব। তারপর ৩-৪ সপ্তাহ বিশ্রামের পরেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন উনি আর আমরাও চাই দাদা ফের তাঁর স্বাভাবিক জীবনে ফিরুন।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.