নয়াদিল্লি : কোভিশিল্ডের পর কোভ্যাক্সিনে ছাড়পত্র। নির্দিষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করা যাবে এই ভ্যাকসিনের, রবিবার জানিয়ে দিয়েছে ডিসিজিআই। এই পদক্ষেপ এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। সেই লড়াইয়ে যুক্ত হল বড় ও শক্তিশালী হাতিয়ার। দেশের লড়াইয়ে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

এদিন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার যে ঘোষণা করা হয়েছে, তা দেশকে আরও ক্ষমতা যোগাবে, শক্তি দেবে। করোনা মুক্ত দেশ হিসেবে খুব তাড়াতাড়ি ভারত আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন মোদী। এদিন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন গবেষক, বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কাছে আজকের দিন অত্যন্ত সাফল্যের। তাঁদের জন্যই এই সাফল্য পেয়েছে গোটা দেশ। তাঁদের প্রত্যেককে অভিনন্দন।

রবিবার কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে সম্মতি দিল ডিজিসিআই। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দুই ভ্যাকসিনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। শনিবার ডিসিজিআইয়ের হাতে এই দুই ভ্যাকসিনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সম্পর্কে ছাড়পত্র দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করে ডিসিজিআই। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দেশের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন, যা অনুমোদন পেল। এর আগে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

ডিসিজিআই জানিয়েছে কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদ। দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা যাবে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে। আগামী ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য এই দুই ভ্যাকসিনকে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সম্পূর্ণ দেশীয় গবেষণায় তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ -ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে৷ ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়ার পর প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের কর্তারা দাবি করেছিলেন, ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে টিকাটি তৈরি হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে লড়াই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।