মেক্সিকো সিটি : ফিনল্যান্ডের পরে এবার মেক্সিকো। পিফিজার কোভিড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তালিকায় ৩২ বছর বয়েসী এক চিকিৎসক। পিফিজার বায়োএনটেক ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছেন। জানা গিয়েছে ন্যুভো লিওনের নর্দার্ণ স্টেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
এখনও ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম প্রকাশ সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর সারা শরীরে খিঁচুনি, অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে খবর। এরই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর। শুক্রবার রাতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। নজর রেখেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। প্রাথমিকভাবে তাঁর এনসেফ্যালোমাইলিটিস হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য এই এনসেফ্যালোমাইলিটিস হল শিড়দাঁড়া ও মস্তিষ্কের ইনফ্লামেশন।
তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ও ভ্যাকসিনের জন্যই তাঁর এই শারীরিক অবনতি কীনা, তা জানা যায়নি। কারণ আর কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নজরে পড়েনি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এদিকে, ফিনল্যান্ডে প্রথম বার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর মিলল এই ভ্যাকসিনে। ইউরোপের একাধিক দেশে মাস ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে। তার এক সপ্তাহ পরেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
শনিবার এই তথ্য প্রকাশিত হয় ফিনল্যান্ডের সম্প্রচার সংস্থা ওয়াইএলই-তে। ২৭শে ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ফিনল্যান্ডে মাস ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়। ইউরোপিয়ান কমিশনের থেকে ছাড়পত্র পেয়ে পিফিজার বায়োএনটেক ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। ছাড়পত্র মেলার একদিন পরেই মাস ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু করে ফিনল্যান্ড সরকার।
দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিকর্তা মাইজা কাউকোনেন জানান, এই ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর তিনি পেয়েছেন। গোটা বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। তবে যদি কমপক্ষে পাঁচজনের কাছ থেকে এই ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর মেলেই তবেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে মূলত অ্যালার্জি শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকে। ফিনল্যান্ডের পাঁচটি বড় হাসপাতালে মাস ভ্যাকসিনেশনের কাজ চলছে। হেলসিঙ্কি, টুরকু, ট্যামপেরে, কুওপিও ও ওউলোর জেলা হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.