সুভাষ বৈদ্য, কলকাতা: সারা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে শনিবার সম্পন্ন হল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ড্রাই রান বা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া৷ এই প্রক্রিয়াটি চলাকালীন বিধাননগর পুরসভার দত্তাবাদের কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও ‘ হু ’এর প্রতিনিধি৷
শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে রাজ্যের তিনটি জায়গায় শুরু হয় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ড্রাই রান৷ কেন্দ্রগুলো হল বিধাননগর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ফোর৷ এদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ড্রাই রানে অংশ নেন৷ দত্তাবাদ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম৷
এই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি জানালেন, সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ড্রাই রান৷ রাজ্যে ভ্যাকসিন আসলে সেই প্রক্রিয়াটা কিভাবে চলবে তার একটি মহড়া হল৷ পাশাপাশি দত্তাবাদ কেন্দ্রে ড্রাই রান চলাকালীন পরিদর্শনে আসেন‘ হু ’এর প্রতিনিধি৷
ড্রাই রানে অংশগ্রহণকারী স্বাস্থ্যকর্মী হাসি রানি সরকার জানালেন, কয়েক দিন আগে তার নাম নেওয়া হয়৷ সেই মত তিনি শনিবার ড্রাই রানে অংশ নিতে দত্তাবাদ কেন্দ্রে আসেন৷ তারপর তাকে একটি ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ভ্যাকসিনেশন রুমে৷ শেষে একটি অবজার্ভেশন রুমে ৩০মিনিট রাখা হয়৷ তারপর মিলে বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র৷
তিনি আরও জানালেন,প্রতিষেধক এলে এবং তা দেওয়ার সময় কী কী করতে হবে, কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে, তা ড্রাই রানে বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ তবে এদিন তাদেরকে কোন ভ্যাকসিন পুশ করা হয়নি৷
মহড়ায় পুশ করার আগের মূহুর্ত পর্যন্ত দেখানো হয়৷ করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে দেশে সবার আগে ছাড়পত্র পেয়েছে কোভিশিল্ড। রয়টার্স সূত্রে খবর, জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার সিইও আদর পুণাওয়ালা জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ তৈরি হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.