ঢাকা: বাংলাদেশের জাতির জনকের ভাস্কর্য ও ম্যুরালের উপর হামলা অব্যাহত। কথিত ধর্মীয় রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলি ইসলাম অবমাননার প্রসঙ্গ তুলে কোনও ভাস্কর্য তৈরির বিরোধিতায় অনড়। আর মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরি করবেই সরকার। এমনই অবস্থান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের।
বিতর্কিত এই টানাপোড়েনর মাঝে এবার বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল আক্রান্ত ঠাকুরগাঁওয়ে।স্থানীয় পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় স্থাপিত ম্যুরালে ভাঙচুর হয়। ঘটনায় নুর আলম নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাস্কর্যে হামলা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে বিপ্লবী বাঘা যতীনের আবক্ষ ভাস্কর্য। এই সব ঘটনা কুষ্টিয়া শহর ও কুমারখালী এলাকার। এবার ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে হামলার ঘটনায় ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ইট দিয়ে আঘাত করে স্থানীয় যুবক নুর আলম। এতে ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নুর আলমকে আটক করা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের জনগণের সংখ্যাগুরু মুসলিম। কোনও মুসলিম জনবহুল দেশে ইসলাম বিরোধী সংস্কৃতি চলবে না, তাই ভাস্কর্য রাখা যাবে না। এই যুক্তিকে বঙ্গবন্ধু সহ সব ধরণের ভাস্কর্য বিরোধিতায় সরব ইসলামপন্থী সংগঠনগুলি।
হেফাজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী ধর্মীয় সংগঠনের বিরোধিতা চলছেই। এই সংগঠনগুলির চাপে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে আগেই সরানো হয় গ্রিক আইনের দেবী থেমিসের আদলে গড়া ভাস্কর্য। ইসলামপন্থীদের চাপের কাছে সেবার আপোষ করেছিল সরকার।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধিতা করা হলে সরকার কড়া ভূমিকা নেবে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, জাতির পিতার ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.