মেলবোর্ন: বর্ষবরণের দিন অবশিষ্ট দলের থেকে আলাদা হয়ে মেলবোর্নের রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা সহ ৫ জন ভারতীয় ক্রিকেটার। নভলদীপ সিং নামে এক ভারতীয় সমর্থকের টুইট থেকে বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। শনিবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতি অনুসারে রোহিত, গিল, পন্ত, পৃথ্বী এবং সাইনিদের আইসোলেট করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং অবশিষ্ট ভারতীয় স্কোয়াড থেকে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ‘রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্ত, শুভমন গিল, পৃথ্বী শ এবং নভদীপ সাইনিকে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড থেকে আলাদা করা হয়েছে। তবে তারা অনুশীলন করতে পারবে। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যে প্রোটোকল বলবৎ রয়েছে, এটা সেই প্রোটোকলেরই অংশ।’ তবে মেলবোর্নের রেস্তোরাঁয় গিয়ে আদৌ রোহিতরা প্রোটোকল ভেঙেছেন কীনা সেটা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। বিসিসিআই এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া গোটা বিষয়টি পরীক্ষা করছে এবং খতিয়ে দেখছে জৈব সুরক্ষা বলয় সেখানে লঙ্ঘিত হয়েছে কীনা।

বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রোটোকল অনুযায়ী ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের আলাদা করা হয়েছে তবে অনুশীলনে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট পন্তদের জৈব বলয় লঙ্ঘন করার যুক্তি খন্ডন করে দিয়েছে। তাদের দাবি, ক্রিকেটাররা বাইরে বেরিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু রেস্তোরাঁয় তাদের ঢুকতে হয়েছিল যেহেতু বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল।

মেলবোর্নে বসবাসরত অনাবাসী ভারতীয় ফ্যান নভলদীপের টুইটার পোস্ট থেকে শুক্রবার জানা যায় নতুন বছরের প্রথমদিন রোহিত শর্মা, নভদীপ সাইনি, শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্ত মেলবোর্নের একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। ওই ফ্যান আরও লেখেন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের এতই ভক্ত যে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের দেখে তিনি আপ্লুত হয়ে পড়েন। আরও বেশি সময় ধরে যাতে রোহিত-পন্তদের তিনি দেখতে পারেন সেজন্য খিদে না থাকা সত্ত্বেও খাবার অর্ডার করে দেন তিনি। এরপর রোহিত-পন্তদের না জানিয়েই তাদের খাবারের বিল মিটিয়ে দেন বলে বিলের ছবিও টুইটার পোস্টে শেয়ার করেন নভলদীপ।

তবে পরবর্তীতে টুইটার পোস্টে পন্ত তাঁকে আলিঙ্গন করেছেন লিখে বিতর্কের জন্ম দেন নভলদীপ। কিন্তু সেকথা খন্ডন করে পরে একটি সংশোধনী পোস্টে নভলদীপ লেখেন, ‘আমি আবেগের বশে কথাগুলো বলেছিলাম। আসলে পন্ত আমায় আলিঙ্গন করেনি, গোটা বিষয়টাতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় ছিল। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ উল্লেখ্য, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জৈব-নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুযায়ী ক্রিকেটাররা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেতে পারে, তবে সেটা আউটডোরে। কোনও বদ্ধ জায়গায় নয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।