দাবি আদায়ে প্রজাতন্ত্র দিবসেই দিল্লিমুখী ট্র্যাক্টর অভিযান কৃষকদের! সরকারকে খোলা চ্যালেঞ্জ!
আরও জোরদার হতে চলেছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার শিবিরকে। 'রোক সাকো তো রোক' তো গোছের ভাবনা নিয়ে এবার সরাসরি দিল্লি অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন দর্শন পাল সিংরা। আগামী ২৬ জানুয়ারি বা প্রজাতন্ত্র দিবসকেই এসপার-ওসপারের আঙিনা হিসেবে বেছে নিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

দিল্লিমুখী কৃষক আন্দোলন
কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরোধিতায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কেন্দ্রের একাধিক আলোচনা কার্যত জলে গিয়েছে। ফলে নিজেদের দাবি আদায়ে চরম পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েই দিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আগামী ২৬ জানুয়ারি বা প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর চালিয়ে রাজধানী অভিযানের হুমকি দিয়ে রাখলেন কৃষকরা।

কিষাণ প্যারেড
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযানের কথা জানিয়েছে দেশের ৪০টি কৃষক সংগঠন নিয়ে তৈরি হওয়া সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। ওই মঞ্চের অন্যতম নেতা দর্শন পাল সিং জানিয়েছেন, রাজধানীমুখী কৃষকদের এই ট্র্যাক্টর অভিযানের নাম 'কিষাণ প্যারেড'। অহিংস উপায়ে নিজেদের দাবি আদায় করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দর্শন পাল। অন্যদিকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা অন্যতম সদস্য তথা স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব কেন্দ্রকে সরাসরি মিথ্যাবাদী বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, কৃষকদের ৫০ শতাংশ দাবি মেনে নেওয়ার যে আশ্বাস নরেন্দ্র মোদী সরকার দিয়েছে, তার কোনও লিখিত প্রমাণ নেই বলেও জানিয়েছেন যোগেন্দ্র।

কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক
গত বুধবার আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ষষ্ঠ রাউন্ডের বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আলোচনায় দুই পক্ষই কিছুটা নরম হয়েছিল বলে শোনা যায়। কারণ কেন্দ্র নাকি বিক্ষোভরত কৃষকদের অর্ধেক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বলে খবর। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রযুক্ত বিতর্কিত তিন কৃষি বিলে কোনও সংস্কারের আশ্বাস না পেয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি হচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। এই অবস্থায় আগামী ৪ জানুয়ারি আবারও কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে সরকার।

২৬ জানুয়ারি সেই দিন
আগামী ২৬ জানুয়ারি বা প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একই দিনে কৃষকদের নাছোড় কর্মসূচি প্রশাসন যে কোনও উপায়ে আটকাতে গেলে সংঘাত যে অনিবার্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।