স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার। বিজেপিও শাসক দলের পাল্টা কর্মসূচি ‘আর নয় অন্যায়’ চালু করেছে। আর এই দুই দলের কার্যকলাপ তুলে ধরতে নতুন কর্মসূচি চালু করছে সিপিএম৷ তাদের এই নতুন কর্মসূচীর নাম-‘বাড়ি বাড়ি যাও, জনসংযোগ বাড়াও’।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখন কয়েক মাস বাকি রয়েছে। তবে শীতের আবহে এখন থেকেই উত্তপ্ত বঙ্গের রাজনীতি। মানুষের কাছে সরকারকে পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ সত্বেও এই উদ্যোগে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে দাবি শাসক শিবিরের। এই কর্মসূচির ফায়দা যাতে শাসক দল তৃণমূল না পায় তাই একই সঙ্গে পাল্টা প্রচারে নেমেছে পদ্ম বাহিনী। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকারের’ পাল্টা ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি৷ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আম্ফানের ত্রাণ ও টাকা লুট, আয়ুষ্মাণ ভারত, পিএম কিষাণ প্রকল্পের মতো প্রকল্পে রাজ্যের অংশ না নেওয়ার মতো ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে। আর এই দুই দলের পাল্টা এবার প্রচারে নামছে সিপিএম৷

রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে সেই জনসংযোগ কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এবার ফের জন সংযোগ বাড়াতে নতুন কর্মসূচি নিল সিপিএম। সিপিএম-এর শ্রমিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ৩রা জানুয়ারি কলকাতা পুরসভায় ৭৫ ও ৭৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বাড়ি বাড়ি যাও, জনসংযোগ বাড়াও কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। সিপিএম সূত্রে খবর আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। সিপিএম কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেশের ও রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরবেন। দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা তাঁরা তুলে ধরবেন। সাধারণ মানুষের কথা, কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি রাজ্য পরিচালনায় তৃণমূল সরকার ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে প্রচার করা হবে। এছাড়াও, সিপিএম-এর শ্রমিক সংগঠনের তরফে ১৮ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে জেলে ভরো ও আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করা হবে। সারা রাজ্যে হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সিপিএম কতটা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারে এখন সেটাই দেখার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।