কলকাতাঃ  দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভন-বৈশাখী! কিন্তু সেভাবে সামনের সারিতে দেখা যায়নি তাঁদেরকে। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপির তরফে শোভন-বৈশাখীকে বড় উপহার বঙ্গ বিজেপির। দেওয়া হয়েছে নয়া পদ। আর সেই পদ পাওয়ার পরেই পথে নামছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার কলকাতায় বিশাল মিছিল করবেন বিজেপির কলকাতা জোনের নতুন পর্যবেক্ষক শোভন। বিশাল এই মিছিলের একেবারে সামনে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে থেকে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত র‍্যালিতে অংশ নেবেন বিজেপির কলকাতা জোনের নতুন পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়।

তিনি ছাড়াও আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। থাকবেন বিজেপির কলকাতা জোনের সহ আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে যে, এই মিছিল থেকেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারেন শোভন-বৈশাখী।

২০১৯-এর ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। শোভনের সঙ্গেই বিজেপিতে নাম লেখান বৈশাখীও। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রায় কয়েক বছর কেটে গেলেও সেভাবে বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের দেখা যায়নি।

দূরে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বৈশাখীকে! বিজেপিতে থেকেও শোভন কখনও ভাইফোঁটা নিতে চলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে, আবার রাজ্য সরকারের আয়োজনে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবে শোভন-বৈশাখীকে দেখা গিয়েছে সামনের সারিতে।

শোভন-বৈশাখীর এহেন আচরণে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। যদিও সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে নিউটাউনের হোটেলে অমিত শাহর সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বিজেপিতে বড় পদ দেওয়া হয় শোভনকে। দেওয়া হয় বৈশাখীকেও।

আর সেই পদ পাওয়ার পরেই কলকাতার রাস্তায় শোভন-বৈশাখী ঝড় উঠতে চলেছে! এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের। যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায় কিংবা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি নিয়ে তেমনটা ভাবতে নারাজ তৃণমূল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, নামবে তো নামুক।

মানুষের সঙ্গে ওদের কোনও যোগাযোগ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা তৈরি করেন, আর বিজেপি তাদেরই ভাঙিয়ে নিয়ে যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।