মালদহঃ  নতুন বছরের প্রথম দিনে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার দুই জায়গায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করলেন দুই নেতা। আর যার ফলে আবার প্রকাশ্যে চলে আসে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হারাধন চন্দ্র দাসের বিবাদ।

জানা যায়, শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিন সকাল থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় দলীয় কার্যালয় গুলিতে পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে নেতা-কর্মীরা। গোটা রাজ্যজুড়ে মিটিং মিছিল এবং সভার আয়োজন করেছে নেতা-কর্মীরা।

দেখা যায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের একই এলাকায় দুই মঞ্চে। যেখানে নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সংগঠন শক্তি বৃদ্ধির বার্তা দিচ্ছেন সেখানে মালদহের শাসকদলের ভিন্ন চিত্র।

মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ১ নম্বর ব্লক এ কিষান ক্ষেত মজদুর ও জয়-হিন্দ বাহিনী এবং অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ও ২ ব্লক তৃণমূল-কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান করা হয়। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ব্লকের অন্তর্গত খোকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দানে কিসান ক্ষেত মজদুর ও জয়-হিন্দ বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জয়হীন বাহিনীর জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস, মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন ও তোবারক হোসেন চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি হারাধন চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য নেতা নেত্রী।

অন্য দিকে মালদহ তৃণমূল-কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কিরণ বালা বালিকা বিদ্যালয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২নম্বর ব্লক নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক এবং ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি মানিক দাস ও হজরত আলী, মালদহ জেলা কো-অর্ডিনেটর মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক কোঅর্ডিনেটর তাজমুল হোসেন সহ তৃণমূল কর্মী সর্মথকেরা। আর এই নিয়ে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি হারাধন চন্দ্র দাস অভিযোগ তুলেছেন, প্রাক্তন সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি কোনও আমন্ত্রণ পাননি। তিনি ক্ষমতায় থাকা কালীন নিষ্ঠার সঙ্গে দলের হয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পর স্থানীয় নেতৃত্ব প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন তার সাথে কোনো রকম যোগাযোগ রাখেন না,দলীয় কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ও জানানো হয় না।

তিনি মানুষের সঙ্গে কোন যোগাযোগ রাখে না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন বলেন যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি সহ সভাপতি প্রত্যেকেই এই সভায় উপস্থিত আছেন। অন্য কোথায় কোন সভা হচ্ছে সেই বিষয়ে তিনি অবগত নন।

প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বর্তমানে এই বিধানসভার মধ্যে পড়েননা, তিনি এখন চাঁচলের বাসিন্দা তাই ওনাকে আহ্বান জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।আর তিনি পদে থেকেও মানুষের কাছে কোনদিন যায়নি। আর তৃণমূলের এই প্রকশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন, তৃণমূল দলের মধ্যে যতগুলো কর্মী ততগুলো গোষ্ঠী। দলে কেউ কাউকে নেতা বলে মানে না। বিধানসভা নির্বাচনের আর চারমাস বাকি। এই চারমাস পর দলের কোনো দিবস পালনের জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর দলটাও থাকবে না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।