স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৫ জানুয়ারি শহরে ৮টি মিছিলের ডাক দিয়েছে কলকাতা জেলা সিপিএম। গোলপার্ক, ধাপা, উল্টোডাঙা, শোভাবাজার, মহাজাতি সদন, খিদিরপুর মোড়, শৈলশ্রী সিনেমা হল এবং বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই দিন মিছিল শুরু হবে।
মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার সেপ্টেম্বর মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকা থেকে আলু, পেঁয়াজ, ডাল, তৈলবীজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বাদ দেয়। বিভিন্ন বিরোধী দল তখন থেকেই আপত্তি তুলতে শুরু করেছিল। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ তিনি বলেছিলেন, এই পণ্যগুলি নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকার বাইরে যাওয়ায় এই সব জিনিসের মজুতদারিতে আর কোনও বাধা থাকল না। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের পক্ষে কৃত্রিম ভাবে দাম বাড়ানো সহজ হবে। এ বার সেই ইস্যুতেই পথে নামছে সিপিএম।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে কাল, রবিবার বারাকপুরে সুকান্ত সদনে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করছেন নাট্যকার চন্দন সেনেরা। দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পাঠানো বার্তায় এ দিন শঙ্খবাবু বলেছেন, ‘রাষ্ট্রশক্তির চাপিয়ে দেওয়া সর্বনাশা কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে গোটা দেশের কৃষক সমাজ কিছু দিন ধরে এক দুঃসাহসিক আন্দোলনে রত। রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে, নেতা-কর্মী ছাত্র-যুবা শিল্পী-সাহিত্যিকদের সঙ্গে মিলিত ভাবে আমিও চাই যে, সর্বতো ভাবে সফল হোক এই আন্দোলন’।
এদিকে, সিপিএম-এর শ্রমিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভায় ৭৫ ও ৭৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বাড়ি বাড়ি যাও, জনসংযোগ বাড়াও কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে।আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। সিপিএম কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা তাঁরা তুলে ধরবেন। সাধারণ মানুষের কথা, কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি রাজ্য পরিচালনায় তৃণমূল সরকার ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে প্রচার করা হবে। সিপিএম-এর শ্রমিক সংগঠনের তরফে ১৮ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে জেলে ভরো ও আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করা হবে। সারা রাজ্যে হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বাম কর্মী, সমর্থকরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.