৪ জানুয়ারি সরকারের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হলে চরম পদক্ষেপ, গোটা দেশ থেমে যাবে, হুঙ্কার কৃষকদের
৬ দফায় বৈঠক সারা। কিন্তু কোনও বৈঠকেই কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এদিকে কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের বিক্ষোভ আন্দোলন এক মাস পার করে গিয়েছে। ৪ জানুয়ারি ফের আরও এক দফায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কৃষকরা। এবারের বৈঠক সফল না হলে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেবন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা হুঙ্কার দিয়েছেন গোটা দেশ শপিং মল, পেট্রোল পাম্প তাঁরা বন্ধ করে েদবেন। এক প্রকার গোটা দেশ অচল করে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন কৃষকরা।

ফের বৈঠক
মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন চলছে গোটা দেশে। বিশেষ করে পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেছে। দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলছে আন্দোলন। ইতিমধ্যেই সমস্যা সমাধানে ৬ দফার বৈঠক সেরে ফেলেছেন তাঁরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনাতেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ৬ দফার বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। আবারও ৪ জানুয়ারি তাঁরা বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষকদের হুঁশিয়ারি
সরকারের সঙ্গে ফের বৈঠক ব্যর্থ হলে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। তাঁরা হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন গোটা দেশ অচল করে দেওয়ার মতো আন্দোলন শুরু করবেন। হরিয়ানার সব পেট্রোল পাম্প, শপিং মল তাঁরা বন্ধ করে দেবেন বলো মোদী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হরিয়ানা সরকার বিজেপির। সিঙ্ঘু সীমান্তে এখনও তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ দফায় আলোচনায় মাত্র ৫ শতাংশ সমস্যা মিটেছে। বাকি সিংহভাগ সমস্যারই কোনও সমাধান মেলেনি বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।

কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন
এদিকে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বামেরা এক যোগে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্ঘু সীমানায় বিক্ষোভ রত কৃষকদের সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন কংগ্রেসের রণদীপ সুরজেওয়ালা। দেশের কৃষকদের পাশে থেকে নতন বছরে নতুন আন্দোলনের অঙ্গিকার করেছেন তাঁরা। মোদী সরকার দেশের শস্য ভান্ডারকেও বিক্রি করে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছেন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মোদী সরকার কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে চালনা করছেন। বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আন্দোলন করছে কংগ্রেস। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও আক্রমণ করতে ছাড়েন নি প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কাঠগড়ায় বসিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের বঞ্চিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।