কৃষক আন্দোলনের পাশে এবার রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা! সমর্থনে চিঠি কবি শঙ্খ ঘোষের, রবিবার সভা
নতুন কৃষি আইন (farm laws) বাতিলের দাবিতে অনড় দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্গু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা (farmers protest)। ৪ জানুয়ারি ডেডলাইন দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ৪ জানুয়ারির বৈঠকে যদি কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা না নেয়, তাহলে তীব্র আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। এদিকে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পী, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদদের একাংশ।
নিচু তলায় ঐক্য অধরা! শীত থাকতেই ব্রিগেডে বামেদের সভা, হাজির থাকতে পারেন রাহুল

কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন বুদ্ধিজীবীদের একাংশের
কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। রবিবার ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে দুপুর দেড়টায় সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই সভায় বক্তা হিসেবে থাকবেন, আল্দোলনে অংশ নিয়ে আসা কৃষকসভার নেতা হান্নান মোল্লা এবং মহঃ সেলিম। এছাড়াও বক্তা হিসেবে থাকবেন, নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়াসিম কাপুর, স্বপ্নময় চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিত্বরা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন নাট্যকার চন্দন সেন। সভায় কবি শঙ্খ ঘোষ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীর সমর্থনপত্র পাঠ করা হবে।

কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বার্তা কবি শঙ্খ ঘোষ, বিভাস চক্রবর্তীর
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রশক্তির চাপিয়ে দেওয়া সর্বনাশা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গোটা দেশের কৃষকরা এক দুঃসাহসিক আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে ছাত্র, যুব, শিল্পী, সাহিত্যিকদের সঙ্গে তিনিও চান এই আন্দোলন সফল হোক। শঙ্খ ঘোষ তাঁর বার্তায় বলেছেন, এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা জানানোর জন্য ৩ জানুয়ারি রবিবার ব্যারাকপুরের সুকান্ত সদনে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। শারীরিক বিকলতার কারণে তিনি এই সভায় উপস্থিত থাকতে না পারলেও দেশে নানা জায়গা থেকে আগত সবাইকে তাঁর শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানিয়েছেন আগে থেকেই।
এব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীও। তিনি বলেছেন, কুকৌশলে অতিমারির সময় বেছে নিয়ে কৃষকদের প্রতিনিধিত্বমূলক কোনও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি আইন পাশ করিয়েছে। সংগ্রামী কৃষকদের প্রতি সমর্থন এবং অভিনন্দন জানিয়ে তিনি ভারতমাতার কাছে প্রার্থনা করেছেন, যাতে সরকারের সুমতি হয়।

কৃষকদের হুঁশিয়ারি
এদিকে সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী ৪ জানুয়ারি বৈঠকে সরকার যদি সদর্থক ভূমিকা নিয়ে তাঁদের দাবি না মানে, তাহলে আগামী দিনে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। তাঁরা আরও বলেছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় সরকার আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়।

কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টায় অধ্যাপকরা
এদিকে কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টায় নেমেছেন দিল্লি, জেএনইউ এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি অধ্যাপকদের একাংশ। কৃষকদের উদ্দেশে দেওয়া খোলা চিঠিতে ৮৬৬ জন অধ্যাপক কৃষি আইনের সুফল সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কৃষকদের পাশে থাকার কথা ঘোষণার পাশাপাশি তাঁরা সরকারেও পাশে থাকার কথা বলেছেন। এই চিঠিতে মোদী সরকারের কৃষি আইনকে সমর্থন জানানো হয়েছে।