শুভেন্দুর টনক নড়েছে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে, এবার কি লাগাম ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতিতে
বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও টার্গেট করেছিলেন হিন্দু ভোটকে। খড়দহের মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যেই তিনি বলেছিলেন ৩০ শতাংশ ভোট যদি ওদের বাঁধা হয়, তাঁরা কারা? বাকি ৭০ শতাংশ তাহলে আমাদের। এর পর থেকেই কিন্তু শুভেন্দুর টনক নড়েছে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে। বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া করতে চান না তিনি।

ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে চান না শুভেন্দু
বিজেপি হিন্দুত্ববাদী দল। শুভেন্দুও তাই দু-হাত তুলে জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলছেন। তার সঙ্গে আবার জুড়েছেন কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। তারপরও শুভেন্দু বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, বিজেপিতে আসলেও তিনি ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে চান না। বিপুলসংখ্যাক ভোট যাতে হাতছাড়া না হয় তার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুর বক্তব্যে আবার পরিবর্তন এসেছে
তিনি বিজেপিতে আসার পর সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। আর পূর্ব মেদিনীপুরে শুবেন্দুর সংখ্যালঘু সমর্থক কম নেই। কিন্তু শুভেন্দুর সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রকাশ করছিল, শুভেন্দুর সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। তাঁর হিন্দু ভোট হলেই যথেষ্ট। কিন্তু নন্দীগ্রামে সভার পরই শুভেন্দুর বক্তব্যে আবার পরিবর্তন এসেছে।

নন্দীগ্রাম সংখ্যালঘু ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন
পূর্ব মেদিনীপুরে য়ে সমস্ত ব্লকে বেশি মুসলিম বসবাস করেন, তার মধ্যে নন্দীগ্রাম অন্যতম। শুভেন্দুর সাম্প্রতিক হিন্দুত্ববাদী বক্তব্যে নন্দীগ্রাম সংখ্যালঘু ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন, তা ভেবেই কি তিনি অবস্থান বদল করলেন। এতদিন সংখ্য়ালঘু ভোট তাঁর কাছে কোনওদিন স্পর্শকাতর হয়ে ওঠেনি, এবার তা হতে শুরু করেছে।

সংখ্যালঘু সমাজ ও হিন্দুদের এক করেই দেখেন শুভেন্দু
শুভেন্দু এদিন ফের বলেন, যতদিন সাংসদ ও বিধায়ক ছিলাম গরিবদের গরিব হিসেবেই দেখেছি। ধর্মের ভেদাভেদ করিনি। সংখ্যালঘুদের বোঝা উচিত মোদী সরকার ৯ কোটি কৃষককে যে ৬ হাজার টাকা করে দিচ্ছে, তার মধ্যে ১ কোটি মুসলিম। কেন্দ্রের প্রকল্পের সব সুবিধা পাচ্ছে সংখ্যালঘুরাও। তিনিও যে সংখ্যালঘু সমাজ ও হিন্দুদের এক করেই দেখে এসেছেন এতদিন, তাও বলেন শুভেন্দু।