নয়াদিল্লি : করোনার নতুন স্ট্রেন উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। ব্রিটেন থেকে ফেরা যাত্রীদের জন্য তাই বিশেষ নির্দেশিকা চালু করল কেন্দ্র। বিশেষ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ব্রিটেন থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা টেস্ট বা আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। যাঁদের টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, তাঁদের ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক।

যাঁরা ব্রিটেন থেকে ফিরবেন, তাঁদের বিমানে চড়ার আগে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখাতে হবে বিমানবন্দরে বলে নির্দেশিকায় জারি করা হয়েছে।

৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীকে এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের বিমানবন্দরে নামার পর তাঁদের প্রত্যেকের স্ক্রিনিং করা হবে। ৮ই জানুয়ারি থেকে ৩০শে জানুয়ারির মধ্যে ভারতে আগত ব্রিটেনের যাত্রীদের সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম জমা দিতে হবে একটি পোর্টালে। newdelhiairport.in-এই অনলাইন পোর্টালে ফর্ম জমা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রা শুরু করার অন্ততপক্ষে ৭২ ঘন্টা আগে সেই ফর্ম জমা দিতে হবে বলে খবর।

এদিকে, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। জানানো হয় ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

এরপর শুক্রবারই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়ে দেন, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালু হবে। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহে দু’দেশের মধ্যে ১৫টি বিমান চলবে। ভারতের দিল্লী, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে বিমানগুলি উড়বে।

করোনার নয়া ধরন নিয়ে উদ্বেগ এখনও জারি। এরই মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ফের বিমান পরিষেবা চালুর উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ফের চালু হবে পরিষেবা। দিন কয়েক আগেই ব্রিটেনে করোনার নয়া স্ট্রেনের হদিশ মেলে। যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়ায় সর্বত্র। এদেশেও করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মেলে। সর্বপ্রথম ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের হদিশ মেলে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ব্রিটেনে যে নতুন করোনার স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে সেটা আরও ভয়ঙ্কর। আগের থেকে ৭১ শতাংশ বেশি সংক্রামক। তবে তার উপসর্গ তেমন ভয়ঙ্কর নয়। এমনই দাবি করেছেন সিসিএমবির ডিরেক্টর ডঃ রাকেশ মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, করোনা যে নতুন স্ট্রেন দেখা দিয়েছে সেটার উপর সমানভাবেই সক্রিয় হবে করোনা ভ্যাকসিন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।