হাওড়া : বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা কিষাণ মোর্চার সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, শুক্রবার সকালে উয়নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের একটি কর্মসূচি ছিল।
সেই সময় ওই এলাকায় বন্ধুর সাথে বাজারে গিয়েছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা কিষাণ মোর্চার সম্পাদক অভিজিৎ রায়। অভিযোগ, হঠাৎই তৃণমূলের কর্মসূচি থেকে অভিজিৎ রায়ের উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকজন। রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রহৃত নেতাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল। তিনি বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই অভিজিৎ রায়কে মারধর করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ থাকলেও কোনওভাবে অভিজিৎকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। বিজেপির অভূতপূর্ব উত্থানে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই গায়ের জোর দেখিয়ে পুলিশকে সাথে নিয়ে তৃণমূল এহেন নিন্দনীয় ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যুষ মন্ডল।
রবিবার দমদম স্টেশনের কাছে সাউথ সিঁথি এলাকায় চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে দাঁড়িয়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ির ওপর হামলা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। কার্যত হামলা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে কি গণতন্ত্র চলে গিয়েছে? এটা কি আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে?’ প্রসঙ্গত, শনিবার বিজেপি-তৃণমূল বচসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিজেপির দফতর হেস্টিংস। সাংসদ সুনীল মন্ডলের উপর হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন চা চক্রে অংশ নিয়ে সেই প্রসঙ্গ তুলে আনেন দিলীপ ঘোষ।
বলেন, ‘আমরা ভদ্রলোক, অত নীচে কখনওই নামব না। সব কিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। পশ্চিমবঙ্গ থেকে গণতন্ত্র চলে গিয়েছে নাকি? এটা কি আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে? আমরা কারও দয়ায় রাজনীতি করি না।’ এদিকে, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ডহারবারের সভা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তিনি এলাকার সাংসদ। ডায়মন্ড হারবারে সভা করতেই পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা বলে অন্যরা সভা করতে পারবেন না, এটা তো ঠিক নয়।’ একইসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়েও এদিন মতুয়াদের আশ্বস্ত করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে ‘বিজেপির কোনও মুখ নেই’- সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘ওঁদের একটাই মুখ, সেটা এখন দুর্মুখ’। কিছুদিন ধরে বিজেপির মুখ কে, তা নিয়ে লাগাতার গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে চলেছে শাসকদল। শুক্রবার সকালে তারই জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, “বিজেপির ১০০ টা মুখ।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.