তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া : দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদের আগামী ছ’মাস সিনেমা না দেখা, ফেসবুক না করা ও কোনও দিকে না তাকানো’র নিদান দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে দলের ছাত্র সংগঠনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাভারতের অর্জুনের লক্ষ্যভেদ প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচন হোক ‘মাছের চোখ’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে প্রার্থী করবেন, তাঁকে কাঁধে নিয়ে ঘোরাই এখন তোমাদের কাজ।
বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম করে সদ্য দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে ‘মেজো বাবু’ সম্বোধন করে কটাক্ষ করে বলেন, ‘পদ্মের সব কুড়ি পড়ে গেছে, এখন হাইব্রিড বিজেপি’।
এরপরেই কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, রামনবমীর আগে ওরা দেখে নেবো বলেছে, কারণ দাঙ্গা লাগানোই আসল উদ্দেশ্য। কিন্তু রামনবমী বিজেপির ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ নয়। বাংলার মাটিতে কোথাও ‘দাঙ্গা লাগানো’র চেষ্টা হলে ‘ফিরে যেতে দেওয়া হবেনা’ বলেও হুঁশিয়ারী দেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ।
এদিন দলের ছাত্র সম্মেলনে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছাত্র নেতৃত্বের প্শাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, চেয়ারম্যান শুভাশীষ বটব্যাল, জেলা মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়াল প্রমুখ।
অন্যদিকে, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়েছে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “নতুন গুন্ডা জয়েন করেছে বিজেপিতে। গুন্ডামিতো একটু চলবেই। হঠাৎ করে যদি পার্টি অফিস কোথাও কেউ করে, চিন্তার কিছু নেই। পাল্টা আমরাও সেটাকে দখলমুক্ত করব।”
পাশাপাশি, কারও নাম না নিয়ে তিনি বলেন, “হলদিয়া ডকে কাপ্তানি কে করেছে সেতো সবাই জানে। ট্রাক বের করার জন্য পাঁচশ করে রেট কার অঙ্গুলিহেলনে চলে সেতো সবাই জানে। কন্ট্রাক্টরদের রাজার রাজা কে সেতো সবাই জানে। একসময়ে লক্ষ্মণ শেঠের কথা ছাড়া পাতা এদিক থেকে ওদিকে নড়ত না। এখনতো নতুন একটা গুন্ডার জন্য তাই হয়েছে। সব গুন্ডামি দেখে নেব।”
সাংসদ আরও বলেন, “বিশ্বাসঘাতক বিশ্বাসঘাতকদের জায়গাতেই থাকে। মীরজাফরকে বাংলার মানুষ কখনও মেনে নেয়নি। ব্রিটিশ কখনও বেইমানদের জায়গা দেয়নি।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.