টিকা নিয়ে বড় ঘোষণা, করোনা ভ্যাকসিন পেতে খরচ করতে হবে কত টাকা? জানালেন হর্ষ বর্ধন
ভারতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ব্যবহারের সবুজ সংকেত মিলেছে। এই আবস্থায় সবার মনেই কৌতুহল জন্ম নেয়, কে, কবে, কীভাবে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে? আদৌ কি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যাবে? কত খরচ হবে ভ্যাকসিন কিনতে? সেই সব প্রশ্নের জবাবই দিলেন কেন্দ্রয়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।

ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশ৷ আর, এই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রান বা মহড়া শুরু হচ্ছে৷ আজ, ২ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হল মহড়া। তালিকায় রয়েছে রাজ্যের তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও৷ এরকমই একটি মহড়ার তদারকিতে গিয়েছিলেন হর্ষবর্ধন, সেই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে। তখনই তিনি বলে গোটা দেশেই বিনামূল্যে দেওয়া হবে করোনা ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিনের মহড়া হতে চলেছে
শুক্রবারই জরুরি ভিত্তিতে দেশে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি (সিডিএসসিও)। ফলে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে আশাবাদী সব মহল৷ তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের আগে দেশ তা নিতে প্রস্তুত কি না তা জানা দরকার৷ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের মধ্যে কোনও খামতি রয়েছে কি না তা জানা দরকার। সেই কারণে শনিবার দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভ্যাকসিনের মহড়া হতে চলেছে।

প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে
এর আগে দেশের কয়েকটি রাজ্যে মহড়া হয়েছে। তবে আজ রাজ্যের তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এই ট্রায়াল রান হচ্ছে৷ এই তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হল, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল, মধ্যমগ্রামের আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সল্টলেকের দত্তাবাদের আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ভ্যাকসিনের মহড়ায় রাজ্যের এই তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিটিতে ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা ভ্যাকসিন দেবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

জানুয়ারিতেই দেশে চালু হতে পারে করোনা টিকাকরণ
এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেখাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার আধিকারিক এবং কর্মীদের। অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩৬০টি প্রশিক্ষণ সেশন। এই ড্রাই রানগুলি সম্পন্ন হলেই প্রতিটি রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স গঠিত হবে। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটির বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নয়া বছরে করোনা ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে সবাই। আশা করা হচ্ছে যে সব ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারিতেই দেশে চালু হতে পারে করোনা টিকাকরণ।