আগরতলা: বিজেপি আইপিএফটি শাসিত ত্রিপুরা সরকার কর্মচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকদের বিকল্প রোজগারের দাবিতে ধর্না আন্দোলন ঘিরে প্রবল বিতর্কে। আন্দোলনকারী এক শিক্ষক অবসানে আত্মঘাতী হলেন। অভাব সহ্য করতে না পেরে তাঁর স্ত্রী স্বামীর সঙ্গেই সহমরণ যেতে চাইলেন। একুশ শতকের ভারত দেখল সন্তান সহ নারী চিতায় উঠে বসেছেন।
গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকার প্রবল অস্বস্তিতে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের বিরুদ্ধে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে রাজ্য জুড়ে।
ত্রিপুরায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা বাম আমলে নিয়োগ পান। তহে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকায় বর্তমান বিজেপি জোট সরকারের আমলে তাঁদের আর চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে না। অর্থাভাবে এই শিক্ষক শিক্ষিকারা বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়ে লাগাতার আন্দোলন করছেন। আগরতলায় চলছে ধর্না অবস্থান। ইতিমধ্যে ৭৮ জন আত্মঘাতী হয়েছেন।
গত ২৭ দিন ধরে চলা এই ধর্নায় ছিলেন কর্মচ্যুত উত্তম ত্রিপুরা। তিনি আত্মঘাতী হন। স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি স্ত্রী। দুই সন্তান কে নিয়ে স্বামীর চিতায় সহমরণ করতে যান তিনি। এমনকি চিতা সাজানোর কাঠের উপর বসে আর্তনাদ করতে থাকেন। মৃত উত্তম ত্রিপুরার স্ত্রী চান অভাবের হাত থেকে নিষ্কৃতি। তাই তিনি স্বামীর সঙ্গেই সন্তান সহ চিতায় পুড়তে গিয়েছিলেন। কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে আত্মীয়রা।
গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই সহমরণের জন্য চিতায় বসে থাকা মৃত উত্তম ত্রিপুরার স্ত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
অভিযোগ, কর্মচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক আন্দোলনের প্রতি কোনও নজরই নেই ত্রিপুরায় ক্ষমতাসীন বিজেপির। বারবার শিক্ষক শিক্ষিকাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
বিরোধী সিপিআইএমের দাবি, অবিলম্বে রাজ্য সরকার ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য বাম আমলে বরাদ্দ করা বিকল্প কর্মসংস্থান প্রয়োগ করুক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.