মমতাকে ছোড়া অস্ত্রে নিজেই বিদ্ধ কৈলাশ! বিজেপির আসল চেহারা চেনাল তৃণমূল
সোনাঝুরির আদিবাসী গ্রাম পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গ্রামে গিয়ে এক আদিবাসীর চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ বসেন। চা খান এবং তাঁকে রান্না করতেও দেখা যায়। সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমে খুব চর্চা হয়েছিল। সেই ছবি পোস্ট করেই ব্যঙ্গ করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

কোন টুইট নিয়ে বিতর্ক?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুন্তি নাড়ছেন, এই ছবি পোস্ট করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় লিখেছিলেন, 'দিদিকে এই কাজটা করতে হবে আরও পাঁচ মাস পড়ে। তবে তিনি এখনই এই কাজটা শুরু করে দিয়েছেন।' আর কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র এই টুইট এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই টুইটকে নারী বিদ্বেষী হিসাবে দেখছে তৃণমূল।

কৈলাশকে আক্রমণ কাকলির
এই টুইটের প্রেক্ষিতে কৈলাশকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন এক টুইট করে কাকলি লেখেন, 'আপনি যদি মহিলা হয়ে থাকেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে চিনে রাখুন। বিজেপি মহিলাদের শুধুমাত্র রান্নাঘরেই দেখতে পারে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র পরিবারের মহিলারা কীরকম বিদ্বেষের সম্মুখীন হয়, তা আমি ভেবে পাচ্ছি না।'

শশী পাঁজাও কৈলাশকে আক্রমণ শানিয়েছেন
এই বিষয়ে শশী পাঁজাও কৈলাশকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, বিজেপি নিজেদের সত্যিকারের রঙ দিখএয়ি দিল। এরা এভাবেই মহিলাদের দেখে, আর সেটাই প্রতিফলিত হচ্ছে তাদের বক্তব্যে। দেশের একমাত্র সিটিং মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি এটাই আক্রমণের হাতিয়ার। এই কারণেই মহিলারা এই দেশে সুরক্ষিত নন।'

মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে ব্যাকফুটে কৈলাশ
সেদিন রাঙাবিতান গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে সেদিন বল্লভপুর ডাঙার আদিবাসী গ্রাম পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এক আদিবাসীর দোকানে কিছুক্ষণ কথা বলেন। চা খান। তরকারি রান্না করতেও দেখা যায় তাঁকে। অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে বসিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। চা খেয়ে দোকানদারকে ৫০০ টাকা দেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করার পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসংযোগ বেশ মন কেড়েছিল সবার। সেই প্রেক্ষিতে আক্রমণ করতে গিয়েই এবার ব্যাকফুটে কৈলাশ।