কলকাতা: আসানসোল থেকে কলকাতা ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের কনভয়৷ আহত হয়েছেন তার আপ্ত সহায়ক ধর্মেন্দ্র কৌশল৷ তবে বাবুলের কোনও আঘাত লাগেনি৷
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়৷ আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ কনভয়ে ছিলেন তার আপ্ত সহায়ক ধর্মেন্দ্র কৌশল ৷
হঠাৎ লেন ভেঙে বাবুলের কনভয়ে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি৷ ওই গাড়িটি বাবুলের আপ্ত সহায়কের গাড়িতে ধাক্কা মারে৷ তাতে বাবুলের আপ্ত সহায়ক আহত হন৷ যদিও অভিযুক্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, ধৃত চালক মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন৷
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ এদিন তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন৷ তারফলে তার আপ্ত সহায়ক অন্য গাড়িতে ছিলেন৷ আর সেই গাড়িতেই ধাক্কা মারে অভিযুক্ত গাড়িটি৷ তাই মন্ত্রীর কোনও ক্ষতি হয়নি৷ কিন্ত আহত হয়েছেন ধর্মেন্দ্র৷
এর আগে, ২০১৬ সালের মে মাসে দিল্লিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী৷ বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বাইক-দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ দুর্ঘটনার পর তাকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল৷ সেখানে সিটি স্ক্যান, এক্স-রে সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। কিছুদিন পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন৷ এবার অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বাবুল৷
তবে কয়েক মাস আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ সেই সময় তার সংস্পর্শে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ ফলে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান বাবুল৷
বাবুল সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই আমি হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সেই মেদান্তা হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়৷ তাঁরা তিন দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছেন৷
তিন দিন পর্যন্ত কোনও উপসর্গ দেখা দেয় কিনা, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব৷ আপাতত বাড়িতে নিজের ঘরে আলাদা থাকব৷ কারণ বাড়িতে আমার বয়স্ক মা-বাবা রয়েছেন৷ এছাড়া ঘরে ছোট বাচ্চা রয়েছে, তাই নিজেকে আলাদা রাখছি৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.