নয়াদিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবশেষে ‘সুখবর’। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড-কে জরুরি ভিত্তিতে দেশে প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেশে কোভিশিল্ড প্রয়োগের ব্যাপারে যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা ভ্যাকসিন প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে এব্যাপারে দফায়-দফায় আলোচনা চালাচ্ছেন।

অক্সফোর্ডের কোবিশিল্ড ভ্যাকসিনকে জরুরি কালীন ভিত্তিতে এদেশে প্রয়োগের ব্যাপারে ছাড়পত্র দিল ডিসিজিআই। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই এই ভ্যাকসিন রাজ্যে-রাজ্যে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে সেব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলবে কেন্দ্রীয় সরকার।

পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং মাসখানেক আগেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এসেছিলেন। সেরামের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে গিয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করছে। সংস্থার কর্ণধারর আদর পুণেওয়ালা আগেই জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত ধাপ গুলি সফলতার সঙ্গেই পার করেছে এই ভ্যাকসিন।

করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে কোভিশিল্ড, এমনই দাবি সেরামের। সংস্থার কর্তা আদর পুণেওয়ালা আরও জানিয়েছেন, কাজ যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের অন্তত ৩০ কোটি ডোজ বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হবেন তাঁরা।

এদিকে, শনিবার থেকেই দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাইরান শুরু হচ্ছে। বাংলাতেও করোনার ভ্যাকসিনের ড্রাইরান হবে। উত্তর ২৪ পরগনার দুটি ও কলকাতার একটি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের ড্রাই রান হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।