প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হাওড়ায়, অরূপ-প্রসূণের অনুষ্ঠানে এলেন না রাজীব-লক্ষ্মীরতন শুক্লারা
দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব প্রকট হল হাওড়ায়। অরূপ রায়ের অনুষ্ঠানে এলেন না রাজীব, লক্ষ্মীরতন শুক্লারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অরূপের সঙ্গে বিবাদের কারণেই জেলা সভাপতি পদে লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে বসানো হয়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয় রাজ্য কমিটিতে। কিন্তু তার পরেও বেসুরো শোনাচ্ছিল রাজীবকে। শুভেন্দুর সুরে সুর মিলিয়েই দলের তোষামদী নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে দফায় দফায় রাজীবের সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

হাওড়ায় গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব
হাওড়ায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অরূপ রায়। হাজির হয়েছিলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকেই দেখা যায়নি সেই অনুষ্ঠানে। দেখা যায়নি বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। দলের অনেকেই আশা করেছিলেন প্রতিষ্ঠা দিবসে এক মঞ্চে দেখা যাবে অরূপ ও রাজীবকে। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন রাজীব নিজেই।

ক্ষুব্ধ প্রসূন
অরূপ রায়ের অনুষ্ঠানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লার অনুপস্থিতিতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সাংসদ প্রসূন মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে অন্তত জেলা সভাপতির থাকা উচিত ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জেলার কোনও অনুষ্ঠানেই এদিল লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে দেখা যায়নি। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দলনেত্রীকে বিষয়টি তিনি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। রাজীব ও লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য দলনেত্রীকে আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

বেসুরো রাজীব
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাচ্ছেন গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই বোসুরো গাইতে শুরু করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যেই তিনি মন্তব্য করেন যাঁরা দলে তোষামদ করেন তাঁরাই গুরুত্বপূর্ণ পদ পান আর যাঁরা কাজ করেন তাঁদের কোণঠাসা করে রাখা হয়। রাজীবের এই মন্তব্যের পরে দল বদলের জল্পনা শুরু হয়ে যায়। শেষে তাঁকে ডেকে আলোচনা শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পরে সুর বদল করেন রাজীব। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজীবকে দেখা যায়নি।

অরূপ রায়ের বিজেপি যোগের জল্পনা
ইতিমধ্যেই আবার সৌমিত্র খাঁ দাবি করে বসেন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অরূপ রায়। সেই জল্পনায় জল ঢেলে অরূপ রায় পাল্টা সৌমিত্র খাঁকে আক্রমণ করে বলেন এদল ওদল সেদল করার অভ্যাস তাঁর নেই। বিজেপির আদর্শর সঙ্গে তাঁর আদর্শ মেলে না। কাজেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
আর একধাপ গেলেই 'জালে' ভাইপো! অভিষেকের জন্যে 'ফাঁদ' তৈরি করছেন শুভেন্দু নিজে?