কলকাতা: তিনি বাংলা দলের ‘ক্রাইসিস ম্যান’। ২০১৯-২০ রঞ্জি ট্রফিতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে একাধিক ক্ষেত্রে প্রমাণ দিয়েছেন সেটা। পাশাপাশি ২০১৯-২০ রঞ্জি ট্রফির মধ্যে দিয়ে কেরিয়ারে যেন নবরূপে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর। নতুন বছরের শুরুতে হয়তো তারই পুরস্কারটা পেয়ে গেলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়ক হিসেবে অনুষ্টুপকেই বেছে নিল বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। অর্থাৎ, অভিমন্যু ঈশ্বরণকে সরিয়ে বাংলার টি২০ দলের নয়া দলনায়ক হলেন ‘ক্রাইসিস ম্যান’ অনুষ্টুপ।
অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শ্রীবৎস গোস্বামীকে অনুষ্টুপের ডেপুটি পদে বসানো হয়েছে। গত মরশুমেও বাংলা দলকে মুস্তাক আলি টি২০ টুর্নামেন্টে প্রায় একার কাঁধে ফাইনালে তুলেছিলেন অনুষ্টুপ। আর সে কারণেই কেবলমাত্র মুস্তাক আলি টি২০’র জন্যই ৩৬ বছরের এই ব্যাটসম্যানকে অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিএবি’র তরফ থেকে। ফর্মে ফিরতে ঈশ্বরণের মাথার উপর থেকে নেতৃত্বের বোঝা হালকা করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে ঈশ্বরণের মত একজন ডিফেন্সিভ ব্যাটসম্যানের থেকে নেতৃত্বের হাতবদল করতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট। গত মরশুমে তাঁর নেতৃত্বে দল রঞ্জি ফাইনাল খেললেও ঈশ্বরণের ব্যাটে ছিল রানের খরা। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক রঞ্জি মরশুমে ১০ ম্যাচে মাত্র একটি অর্ধশতরান এসেছিল ঈশ্বরণের ব্যাটে। অন্যদিকে ৫৮.৬৬ ব্যাটিং গড়ে আট ম্যাচে ৭০৪ রান করেছিলেন অনুষ্টুপ।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ইশ্বরণের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলা দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ভিভিএস লক্ষ্মণ জানিয়েছেন, আসন্ন রঞ্জিতে খারাপ ফর্ম কাটিয়ে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করবে ঈশ্বরণ। লক্ষ্মণের কথায়, ‘আমার মনে হয় না ক্যাপ্টেনসি কোনওভাবে ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে বলে। বরং অতিরিক্ত দায়িত্ব ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পক্ষে ভালো।’ এদিকে মুস্তাক আলির জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে বাংলা দলে সুযোগ পেয়েছেন মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফ।
আগামি ১০ জানুয়ারি মুস্তাক আলিতে ওডিশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছে বাংলা। এক্ষেত্রে ১০-৩১ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে অনুষ্টুপের বাংলা। ওডিশা ছাড়াও গ্রুপ ‘বি’তে বাংলার সঙ্গে রয়েছে তামিলনাড়ু, ঝাড়খন্ড, আসাম এবং হায়দরাবাদ।
মুস্তাক আলি টি২০-র জন্য ঘোষিত ২০ সদস্যের বাংলা দল: অনুষ্টুপ মজুমদার (অধিনায়ক), শ্রীবৎস গোস্বামী (সহ-অধিনায়ক), অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মনোজ তিওয়ারি, সুদি চট্টোপাধ্যায়, ইশান পোড়েল, ঋত্বিক রায়চৌধুরি, বিবেক সিং, শাহবাজ আহমেদ, অর্ণব নন্দী, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, অভিষেক দাস, মহম্মদ কাইফ, অরিত্র চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, শুভঙ্কর বাল, প্রয়াস রায় বর্মন, কাইফ আহমেদ, রবি কান্ত সিং।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.