নয়াদিল্লি : কৌশলী চাল ভারতের। লাদাখ সীমান্ত বরাবর কড়া পাহারা ভারতীয় সেনার। সেই স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। উপগ্রহ চিত্রতে দেখা গিয়েছে প্যাংগং লেক জিুড়ে দাপট রয়েছে ভারতীয় সেনার। একই ছবি দেখা গিয়েছে স্পানগার টিসোতেও। ট্যুইটারে নিজেদের অফিশিয়াল পেজে এই ছবি তুলে ধরেছে “d-atis”।
নতুন যে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে প্যাংগং লেকের থেকে পেট্রলিং বোট সরিয়ে দিচ্ছে চিন। প্যাংগংয়ের কাছে রিমুতাং লেকে বোটগুলি রাখা হয়েছে। ওই এলাকার তীব্র শীত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত নয় চিনা সেনা। ফলে রীতিমত বেকায়দায় পড়েছে তাঁরা।
Throughout the #IndiaChinaStandOff, the silence of #India‘s political leadership enabled many to create havoc & panic, however images tactfully released at the end of 2020 when geolocated re-affirm Indian strategic deployments in #PangongTso & #SpanggurTso pic.twitter.com/VSbY1MrRdy
— d-atis☠️ (@detresfa_) January 1, 2021
ভারতীয় সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে লড়াই করতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই পরিস্থিতি কঠিন হলেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ভারত। একই জায়গায় আরও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, চিনাদের থেকেও বেশি সময় ধরে একই জায়গায় অবস্থান করবে ভারতীয় সেনা।
শীতের কাঁপুনি সহ্য করা কঠিন। কিন্তু তাই বলে এলাকার দখলদারি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই, প্রবল ঠাণ্ডাতেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনী। কিন্তু অতদিন ধরে থাকার ক্ষমতা নেই। তাই, রোটেশন পদ্ধতিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে চিন। কিন্তু কতদিন তা করা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় তাই বেশ সমস্যায় চিনা বাহিনী, সেই সুযোগটাই নিচ্ছে ভারতীয় সেনা। নিজেদের মতো করে সেখানে সেনা সাজাচ্ছে ভারত।
১৮ই ডিসেম্বর যে বিদেশমন্ত্রক স্তরের বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে, সেখানে সীমান্তে থেকে সেনা সরাবার বিষয়ে পূর্ণ সম্মতি দেয় ভারত ও চিন। কিন্তু চিন সেই কথা রাখেনি। ফলে পিছু হঠেনি ভারতও। এদিকে, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর নিজেদের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে চিনা বিমানবাহিনী সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে।
কিন্তু ভারত জানে চিনকে বিশ্বাস করা বোকামি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে তাঁরা। তাই নিজেদের প্রস্তুতি ঠিক রাখতে কোনও খামতি নেই ভারতের। চিন নিজেদের আধুনিক প্রজন্মের জে ১০, জে ২০ এবং কিছু বোম্বার যেমন রেখেছে, তেমনই ভারতের হাতেও রয়েছে রাফায়েল, সুখোই, মিগ ২৯ এবং মিরজ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.