সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : এই বছর কেমন যাবে নস্ত্রাদুমাস তো অনেক কিছুই বলেছেন তাঁর লেখায়। সে তো প্রায় শ’পাঁচেক বছর আগের ভবিষ্যৎবাণী। কিন্তু কী বলছে বাংলার নস্ত্রাদুমাস? তিনিও অঙ্ক কষে কয়েকটা আশার কথাও জানাচ্ছেন। আবার একেবারে যে মহানন্দে থাকবে এই ২০২১ তাও বলছেন না। বরং সতর্ক থাকার বানী শোনাচ্ছেন প্রীতম, ‘দ্য নস্ত্রাদুমস অফ বেঙ্গল’ বলে কোনও অত্যুক্তি হবে না। কারণ এর আগে খেলা থেকে রাজনীতির ময়দান হয়ে করোনার বিভিন্ন ভবিষ্যৎবাণী তিনি অঙ্ক কষে বলেছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মিলে গিয়েছে। বিষময় বিশ সাল শেষে এসেছে ২০২১। কেমন থাকতে পার সারা বিশ্বের এই নতুন বছরের আগামী দিনের হাল হকিকত।
প্রীতম প্রথম যে কথাটি বলছেন তা হল, ‘ প্রেডিকশন একপ্রকার প্রগ্নসিস মেথড এটা শুধুমাত্র সম্ভাবনাকে সূচিত করেটাইম মেনশন করে। আমার অঙ্ক অনুযায়ী ১৩ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত খুব একটা সুবিধাজনক নাও হতে পারে’। এরপরেই তিনি জানিয়েছেন , ‘এই বছর আকস্মিক সমস্যা বৃদ্ধি বা দেখা দেওয়া , জল থেকে বিপদ, উত্তেজনা বৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে।’
তাঁর বিশ্লেষণ ‘১) প্রথম কথা জল থেকে বিপদের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে অর্থাৎ নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল তবু অনুমান অনুযায়ী অধিক মাত্রায় ঘূর্ণিঝড় কিংবা সুপার সাইক্লোন , বন্যা হতে পারে ! এর পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হচ্ছে এই বছর সুনামির কোন একটা শঙ্কা সূচিত হতে দেখা যাচ্ছে ভারত সহ বিশ্বের পক্ষে। মোদ্দা কথা , জলভাগ থেকে কোনও বিপদের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
২) অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে ! দেশি অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে ! সীমান্তে উত্তেজনা বা গরম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ৩) রিসার্চ এর ক্ষেত্রে শুভ বা পজিটিভ কিছু দেখা যেতে পারে। ৪) আকস্মিক কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে বা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৫) প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্প , সুনামি বা জলোচ্ছ্বাস হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সব মিলিয়ে তিনি জানিয়েছেন , ‘এই বছর যে কম্বিনেশন তৈরি হচ্ছে তা বেশ জটিল কম্বিনেশন. ফলে নেগেটিভ বা পজিটিভ যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তা কতটা হতে পারে সেই সম্ভাবনা সংখ্যাতত্বের দিক থেকে তা একটা প্রশ্ন চিহ্ন থাকছেই। ২০২০ সালে যা স্পষ্ট নেগেটিভ কম্বিনেশন ছিল। তবে এবছর শুধুমাত্র যে নেগেটিভ কম্বিনেশনে দেখা যাচ্ছে তা নয় পজেটিভ কম্বিনেশন আছে কিন্তু এতটা জটিল ও অস্পষ্ট তাই কোনটার পাল্লা অতি ভারী বলা একটু মুশকিল। তবু যেহেতু সাবধানের মান নেই আর কোথাও না কোথাও নেগেটিভ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাই বললাম।তবে এই বছর নেগেটিভ কম্বিনেশনের পাশাপাশি পজিটিভ কম্বিনেশন আছে যা ২০২০ তে ছিল না এবং পজিটিভ কম্বিনেশন যেনো কাজ করে সেই কামনা করবো। এই বছর যাতে কোনওপ্রকার অশুভ ঘটনা না ঘটে সেই কামনা করবো।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.